নয়ডার টুইন টাওয়ার ভাঙবেন চেতন দত্ত। ফাইল ছবি
গত বছর অগস্ট মাসে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই থেকে হরিয়ানার চেতন দত্ত প্রার্থনা করে আসছেন, এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। যমজ বহুতল দু’টি ভাঙার সুযোগ যেন তাঁর কাছেই আসে। অবশেষে রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় হবে চেতনের ‘স্বপ্নপূরণ’।
হরিয়ানার হিসরের বাসিন্দা চেতন দত্ত। নয়ডার গগনচুম্বী টুইন টাওয়ার ভাঙবেন তিনিই। একটা মাত্র বোতাম টিপে ধূলিসাৎ করে দেবেন ১০০ মিটারের যমজ বহুতল। মাত্র ৯ সেকেন্ডে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়ানে’। চেতনকে এই কাজের বরাত দিয়েছে মুম্বইয়ের এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং, এই সংস্থাই টুইন টাওয়ারের ধ্বংসপ্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে।
চেতন দত্ত যে সংস্থা চালান, সেটি বহুতল ভাঙার কাজ করে। চেতন জানিয়েছেন, নয়ডার এই কাজটা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। যখন সুপ্রিম কোর্ট টুইন টাওয়ার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল, কেউ এক জন আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিল। তখন থেকেই আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, এই বহুতল ভাঙার সুযোগটা যেন আমাকেই দেওয়া হয়। যদিও আমাকেই যে এই কাজটার জন্য বেছে নেওয়া হবে, তা ভাবিনি। কয়েক মাস পরে, জুলাইতে এডিফিস আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে।’’
গত ১০ দিন ধরে বহুতল দু’টির মধ্যে অতি সন্তর্পণে বিস্ফোরক পদার্থ সরবরাহ করছেন চেতন এবং তাঁর টিম। প্রস্তুতি শেষ। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রবিবার দুপুর ঠিক আড়াইটের সময় কাঙ্ক্ষিত সেই বোতামে চাপ দেবেন চেতন দত্ত।
নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে এই দু’টি বহুতলে সব মিলিয়ে মোট ৯০০টি ফ্ল্যাট ছিল। মোট সাড়ে সাত লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে এই টুইন টাওয়ার। টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় বাস করে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। রবিবার সকাল ৭টার মধ্যে তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকেল ৪টের পর আবার তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
৩ হাজার ৭০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক পদার্থ ব্যবহৃত হবে টুইন টাওয়ার ভাঙতে। ডিটোনেটর, শক টিউবের মতো বিস্ফোরক প্রবল শব্দ করে ফাটবে পর পর। এর থেকে তৈরি হবে ৫৫ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ। যা সরাতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy