চিকিৎসকেরা মনে করেছিলেন, সুরেন্দ্র সম্ভবত জলাতঙ্ক বা ভাইরাল এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত। — প্রতীকী ছবি।
রাজস্থানের পালি জেলায় এক ‘নরখাদক’কে ধরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসী। হাসপাতালে মৃত্যু হল সেই সুরেন্দ্র ঠাকুরের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পালি জেলার সেন্দ্রা থানার অন্তর্গত সরদানা গ্রামে এক বয়স্ক মহিলাকে খুন করে তাঁর মাংস খাওয়ার। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গত শনিবার ওই ব্যক্তিকে ধরে হাসপাতালে ভর্তি করান গ্রামবাসীরা। তাঁর পকেট ঘেঁটে উদ্ধার হয় একটি আধার কার্ড এবং একটি বাসের টিকিট। যা দেখে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তির নাম সুরেন্দ্র ঠাকুর, বাড়ি মুম্বইয়ে। পকেটে পাওয়া যাওয়া বাসের টিকিটটি ছিল মুম্বই থেকে মধ্যপ্রদেশের শাহপুরা যাওয়ার। কিন্তু তিনি রাজস্থানে কী করে এলেন? কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি তিনি। সুরেন্দ্রের বাড়ির খোঁজে জোধপুর পুলিশের একটি দল গিয়েছে মুম্বই। কিন্তু এখনও বাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ধৃত ব্যক্তি হাসপাতালেও কয়েক জনকে কামড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের সন্দেহ, ওই ব্যক্তি জলাতঙ্কের মতো কোনও রোগে আক্রান্ত। এর পরেই তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা একটি বেডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা আরম্ভ হয়। কিন্তু ওষুধ কাজ করার আগেই মৃত্যু হল তাঁর। জোধপুরের চিকিৎসকেরা মনে করেছিলেন, সুরেন্দ্র সম্ভবত জলাতঙ্ক বা ভাইরাল এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত। কিন্তু তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে এ ব্যাপারে সুরেন্দ্রের পরিজনদের মতামতও নেওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে মনোরোগ এবং স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা তাঁকে দেখছিলেন। কিন্তু আচমকাই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সুরেন্দ্রর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy