ছেলের দেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন বাবা।
আবারও উত্তরপ্রদেশ। আবারও দানা মাঝির মতো ঘটনা প্রকাশ্যে এল। দু’দিন আগেই কুশীনগরের এক মাকে সন্তানের নিথর দেহ কোলে নিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল, এ বার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ১৪ বছরের ছেলের দেহ কাঁধে নিয়ে গ্রামের উদ্দেশে হাঁটলেন বাবা। ঘটনাটি প্রয়াগরাজের।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর ছেলে শুভমকে প্রয়াগরাজের স্বরূপরানি নেহরু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন বজরঙ্গী যাদব। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয়েছিল শুভমের। হাসপাতাল থেকে শুভমের দেহ ছেড়ে দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ছেলের দেহ কী ভাবে বাড়িতে নিয়ে যাবেন তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বজরঙ্গী এবং তাঁর স্ত্রী।
ছেলের দেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েছিলেন বজরঙ্গী। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুল্যান্স বা কোনও শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেননি। দিন আনা দিন খাওয়া বজরঙ্গীর কাছে অত টাকাও ছিল না যে কোনও গাড়ি ভাড়া করে ছেলের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাবেন। তাঁর দাবি, এক একটি গাড়ি প্রচুর ভাড়া চাইছিল, যা তাঁর পক্ষে কোনও ভাবেই দেওয়া সম্ভব ছিল না।
In a heartwrenching incident, a father in Uttar Pradesh's Prayagraj carried his son's body amid heavy rain on his shoulder after the hospital refused to provide an ambulance.#India #prayagraj #uttarpradesh #father #son #viralvideos #UP #News #NewsUpdate #NewsAlert #NewsIndia pic.twitter.com/CnmB7bnRn9
— First India (@thefirstindia) August 4, 2022
কোনও উপায় না দেখে, কোনও রকম সহযোগিতা না পেয়ে শেষমেষ ছেলের দেহ সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে কাঁধে ফেলে বাড়ির উদ্দেশে স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটা লাগান বজরঙ্গী। রাস্তা দিয়ে দেহ কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি, এই দৃশ্য পথচারীদের অবাক করেছিল। তাঁদেরই কেউ সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন এবং নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ছেলের দেহ কাঁধে নিয়ে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে গ্রামে পৌঁছন বজরঙ্গী।
ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসে। রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরূপরানি নেহরু হাসপাতালের শীর্ষ কর্তা অজয় সাক্সেনার দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের কোনও যোগ নেই। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy