একটি গুলি চলল। তাতে লুটিয়ে পড়ল ১৬ বছরের এক তরুণী। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চলল দ্বিতীয় গুলি। এ বার গুলিবিদ্ধ হলেন তরুণীর বাবা। তার পরেই তৃতীয় গুলির শব্দ। এ বার আততায়ী বন্দুক তাক করেছিলেন নিজের দিকেই। একই সঙ্গে তিন জনের মৃত্যু হল অকুস্থলে। ঘটনাস্থল বিহারের আরা রেলস্টেশন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যস্ত স্টেশনে এই ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তরুণীর নাম জিয়া কুমারী। বয়স মাত্র ১৬ বছর। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাবা অনিল সিন্হার। তার পর যিনি গুলি করেছিলেন, সেই ২৪ বছরের যুবক নিজেকেও শেষ করে দেন। তাঁর নাম আমন কুমার। মনে করা হচ্ছে, নাবালিকার সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের জটিলতা থেকে এই খুনোখুনি এবং আত্মহত্যার ঘটনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরা রেলস্টেশনের ২ এবং ৩ প্ল্যাটফর্মের মাঝে ফুটব্রিজ়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা এবং মেয়ে। আচমকা মেয়ের দিকে একটি গুলি ধেয়ে আসে। বাবা সেটা বুঝতে না বুঝতেই গুলিবিদ্ধ হন। হুলস্থুল শুরু হয় স্টেশন চত্বরে। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন যাত্রীরা। ঠিক তখনই তৃতীয় গুলিটি চলে। তাতে আততায়ীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
অল্প দূরত্বের ব্যবধানে তিন জনের দেহ পড়ে ছিল। রক্তে ভেসে যায় চারপাশ। ভোজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাজ জানান, কিশোরীর সঙ্গে সম্ভবত সম্পর্ক ছিল যুবকের। সেই সম্পর্কে অবনতির কারণে এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তার তদন্ত চলছে।