ইট দিয়ে পিটিয়ে যুবক খুন। প্রতীকী ছবি।
রাতের গাজিয়াবাদে বেমক্কা খুন হয়ে গেলেন এক যুবক। গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। ওই যুবককে ইট দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনায় পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দোষীদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মৃতের পরিজনদের।
গাজিয়াবাদে জাতীয় সড়কের উপর একটি ধাবার পাশেই থাকেন পেশায় দুধ ব্যবসায়ী বরুণ। মঙ্গলবার রাতে তিনি ধাবার সামনে নিজের গাড়িটি রেখেছিলেন। অভিযোগ, বরুণ এমন ভাবে গাড়িটি দাঁড় করান যে তাতে পাশে রাখা গাড়ির দরজা খোলা যাচ্ছিল না। এ নিয়ে দুই গাড়ির মালিকের বচসা শুরু হয়। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, হাতাহাতি চলাকালীনই দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন কর্মীর ছেলে বরুণকে মাটিতে শুইয়ে ফেলে মাথায় ইট দিয়ে বার বার আঘাত করছেন এক ব্যক্তি। বরুণের মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছে। পুলিশের দেখা নেই। আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
এই ঘটনার পর বরুণকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুষ্কৃতীরা পলাতক। এই ঘটনায় গাজিয়াবাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে ধাবার সামনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হল, সেই সময় পুলিশ কোথায় ছিল? কেন ছিল না কোনও নজরদারির ব্যবস্থা?
বরুণের মৃত্যুর পর তাঁর পরিজনেরা থানা ঘেরাও করে এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গাজ়িয়াবাদ এলাকায় রাস্তার পাশে গজিয়ে ওঠা ধাবায় মদ বিক্রি নিয়েও আপত্তি তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, পুলিশি নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা। পাশাপাশি, ধাবাগুলোতে যে ভাবে দেদার মদ বিক্রি চলছে, তাতেও এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy