দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শুক্রবার ফের আফজলকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। —প্রতীকী ছবি
২০২০ সালের নভেম্বরে ধর্মান্তরকরণ-বিরোধী আইন চালু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। সেই আইনে প্রথম বার সাজা ঘোষণা হল রাজ্যে। শনিবার ২৬ বছরের এক কাঠ মিস্ত্রীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আমরোহার এক আদালত। গত বছর এপ্রিলে ভিন ধর্মী নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আফজলকে। পরে তাঁকে জেরা করেই উদ্ধার করা হয় সেই ১৬ বছরের কিশোরীকে।
অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল আশুতোষ পাণ্ডে জানান, ধর্মান্তরকরণ-বিরোধী আইনে এই প্রথম বার উত্তরপ্রদেশে কেউ সাজা পেলেন। সাম্ভালের বাসিন্দা আফজল জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শুক্রবার ফের তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
আমরোহার বিশেষ কাউন্সেল বসন্ত সিংহ সাইনি বলেন, ‘‘কিশোরীর কাছে নিজেকে আরমান কোহলী বলে পরিচয় করান আফজল। পরে তাঁর প্রকৃত পরিচয় জানতে পারে কিশোরী। শনিবার তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’’
২০২১ সালের ২ এপ্রিল কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, দু’দিন ধরে তাঁর মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। কাজের নাম করে বেরিয়েছিল। স্থানীয়রা কিশোরীকে এক জন পুরুষের সঙ্গে দেখেছিলেন বলেও থানায় জানিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই আফজলের কথা আসে। জানিয়েছিলেন, তাঁর দোকানে চারা কিনতে আসতেন আফজল।
কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেছিলেন, ওই আফজলই তাঁর মেয়ের ‘ধর্মান্তরকরণের জন্য অপহরণ’ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আফজলের নামে ধর্মান্তরকরণ-বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরের দিন দিল্লি থেকে আফজলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই কিশোরীর খোঁজ পায় পুলিশ।
২০২০ সালে বেআইনি ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইন অধ্যাদেশ আনে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। পরে সেই অধ্যাদেশের বদলে বিল আনে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। পরে তা আইনে পরিণত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy