Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
CAA

সিএএ: বাচ্চার জন্য খাবার আনতে গিয়ে আর ফেরা হল না ফুরকানের

ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে কেঁদে ফেলেন মহম্মদ ফুরকানের দাদা মহম্মদ ইমরান।

নিহত মহম্মদ ফুরকান। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

নিহত মহম্মদ ফুরকান। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৫২
Share: Save:

বিক্ষোভের জেরে দোকানপাট বন্ধ সকাল থেকে। তার জন্য দিনভর বাড়িতেই ছিলেন মহম্মদ ফুরকান (৩৭)। কিন্তু ছেলেমেয়ে দু’টোর মুখে খাবার তুলে দিতে হবে। তার জন্য রাতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সেই যে বেরোলেন আর ফেরা হল না দিল্লির বাসিন্দা মহম্মদ ফুরকানের। বাড়ি ফিরল তাঁর মৃতদেহ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে সোমবার জাফরাবাদ-সহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় হিংসা ছড়ায়। জাফরাবাদ সেতুর পাশেই কদমপুরী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মহম্মদ ফুরকান। হস্তশিল্পs ব্যবসায়ী তিনি।

ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে কেঁদে ফেলেন মহম্মদ ফুরকানের দাদা মহম্মদ ইমরান। তিনি জানান, ভাইয়ের মতো তাঁরও হস্তশিল্পের ব্যবসা রয়েছে। বিক্ষোভের জেরে গতকাল বাজার বন্ধ ছিল। কাজ না থাকায় দুপুর আড়াইটে নাগাদ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন ফুরকান। সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে আসেন তিনি। তার পরই তাঁর কাছে ফোন আসে।

আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে নামবে সেনা’, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন কেজরীবাল​

আরও পড়ুন: মৃত্যু বেড়ে ৭, আজও উত্তপ্ত দিল্লি, আগুন-ইট-১৪৪, চলল লুঠপাটও​

ইমরান বলেন, ‘‘বাড়ি ফিরে একটি ফোন পাই আমি। এক জন জানান, ভাইয়ের পায়ে গুলি লেগেছে। প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। ভাবলাম, এই যাঁকে দেখে এলাম, মুহূর্তের মধ্যে কী এমন হল? সঙ্গে সঙ্গে ওর নম্বরে ফোন করি। কিন্তু কেউ ধরেনি। তাতেই দুশ্চিন্তা বাড়ে আমার। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই একের পর এক নম্বর থেকে ফোন আসতে শুরু করে আমার কাছে। জানতে পারি, গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে ভাইকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’

খবর পাওয়া মাত্রই তিনি হাসপাতালে ছুটে যান ইমরান, কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। ইমরান বলেন, ‘‘তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যাই আমি। কিন্তু তত ক্ষণে ভাই মারা গিয়েছে। ডাক্তারদের হাতেপায়ে ধরি আমি। অন্য কোথাও নিয়ে গেলে ওকে বাঁচানো যাবে কি না জানতে চাই। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, সব শেষ।’’এর পরই ভেঙে পড়েন ইমরান। তিনি বলেন, ‘‘চোখের সামনে অন্ধকার দেখছি। কিচ্ছু রইল না। দু’টো ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে ওর।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE