বিয়ের আসরে মজার ছলে গুলি ছোড়া হচ্ছিল। সেই গুলি লেগে মৃত্যু হল গ্রামপ্রধানের স্বামীর। বিয়েবাড়ির উদ্যাপনে এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা মানতে চায়নি প্রশাসন। এমনকি, মৃতের স্ত্রী তথা গ্রামপ্রধানও গুলির কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। তবে ঘটনাস্থলের ভাইরাল ভিডিয়ো অন্য কথা বলছে। সেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মজার ছলে গুলি চালাতে গিয়ে পিস্তল নল উপরের দিকে তুলতেই ভুলে গিয়েছিলেন যুবক। অসাবধানতায় ট্রিগার চেপে দেন তিনি। সেই গুলি ওই ব্যক্তির গায়ে লাগে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
আরও পড়ুন:
পঞ্জাবের জালন্ধরের গোরায়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম পরমজিৎ সিংহ (৪৫)। ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, একটি বিয়েবাড়িতে একসঙ্গে ১২ থেকে ১৪ জন দাঁড়িয়ে আছেন। গানের তালে তালে তাঁরা নাচছেন। কেউ টাকা ওড়াচ্ছেন। এক যুবকের কাছে ছিল পিস্তল। নাচের তালে তালেই পিস্তল বার করেন তিনি। তার পর আচমকা ট্রিগার চেপে দেন। শূন্যে গুলি ছুড়ে বিয়েবাড়ির আনন্দ উদ্যাপন করতে চেয়েছিলেন যুবক। কিন্তু বেখেয়ালে তাঁর হাত থেকে পর পর তিন রাউন্ড গুলি চলে। ওই সময়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন পরমজিৎ। একটি গুলি তাঁর গায়ে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লুটিয়ে পড়েন।
এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, কোনও সাধারণ নাগরিক নিজের কাছে পিস্তল রাখতে পারেন না। বিয়েবাড়ি বা এই ধরনের অন্য কোনও অনুষ্ঠানেও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। পঞ্জাব সরকারও আলাদা করে এ বিষয়ে আইন এনেছে। কিন্তু তার পরেও এমন ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না।
বিয়েবাড়িতে গুলি চলার বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে অস্বীকার করেছে পুলিশ। কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি। তবে ভিডিয়োটি নিয়ে শোরগোল শুরুর পর প্রশাসনের উপর চাপ বেড়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।