বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিরা ব্যস্ত। অনুষ্ঠান যাতে ঠিক মতো উতরে যায়, তার জন্য হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করছিলেন কনের বাবা। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। সন্ধ্যায় বিয়ের আসর বসে। আলো ঝলমল, গানবাজনা চলছিল অনুষ্ঠানবাড়িতে। হাসিঠাট্টায় মেতেছিলেন অতিথিরা। কিন্তু সেই আনন্দ যে কান্নায় বদলে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেননি।
তেলঙ্গানার কামারেড্ডি জেলার বিকানুরে রামেশ্বরপল্লি গ্রামের বাসিন্দা বালাচন্দ্রমের কন্যার বিয়ে ছিল বৃহস্পতিবার। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি লজে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বালাচন্দ্রন কন্যার বিয়ের রীতি-রেওয়াজ পালন করেন। তাঁর পা ধুইয়ে দেন। তার পর অসুস্থ বোধ করায় লজের একটি ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। তার পরই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে ডাকতে গিয়ে সাড়াশব্দ না মেলায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাড়ির লোকেরা।
সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসক বালাচন্দ্রনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আনন্দ বদলে যায় কান্নায়। বিয়েবাড়িতে কান্নার রোল ওঠে। বালাচন্দ্রনের মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েন তাঁর আত্মীয়েরা। এই কামারেড্ডি জেলাতেই বৃহস্পতিবার এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছিল। স্কুলে যাওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় তার।