বিচার না পেলে মৃত্যুর পর তাঁর চিতাভস্ম যেন নালায় ফেলে দেওয়া হয়। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং হেনস্থার অভিযোগ তুলে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায় আত্মঘাতী তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। বৃহস্পতিবার এটাওয়া রেলস্টেশনের কাছে একটি হোটেল থেকে ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর আগে একটি ভিডিয়োবার্তায় তাঁর অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার।
পুলিশ সুপার অভয়নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এটাওয়ার একটি হোটেলে বুধবার এসে ওঠেন মোহিত যাদব নামে এক ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একটি সিমেন্ট সংস্থায় কাজ করতেন। অরাইয়ার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে মোহিতের কোনও সাড়া না পেয়ে হোটেলের কর্মীরা ডাকাডাকি করেন। দরজা খুলতেই মোহিতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান হোটেলের কর্মীরা। তার পরই পুলিশে খবর দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাত বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর ২০২৩ সালে প্রিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় মোহিতের। মৃত্যুর আগে মোহিত অভিযোগ করে গিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে বিহারে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ পান তাঁর স্ত্রী। তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু প্রিয়ার মা গর্ভপাত করান বলে অভিযোগ। মোহিত বলেন, ‘‘স্ত্রীর নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। যদি না দিই, তা হলে আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে হুমকি দেওয়া হত। আমার বিরুদ্ধে প্রিয়ার বাবা মিথ্যা মামলা করে। ওর ভাই আমাকে খুন করার হুমকি দেয়।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিয়োবার্তায় মোহিত আরও বলে গিয়েছেন, ‘‘এই ভিডিয়ো যত ক্ষণে আমার বাড়ির লোক, আত্মীয়স্বজনের হাতে পৌঁছোবে তত ক্ষণে আমি এই পৃথিবী ছেড়ে ছেড়ে অনেক দূর চলে যাব। যদি পুরষদের জন্য আইন থাকত, তা হলে আমাকে এই পথ বেছে নিতে হত না। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছিলাম না।’’