বন্দে ভারত। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বন্দে ভারতে পাথর মারার ঘটনা হামেশাই প্রকাশ্যে আসে। তবে এ বার একেবারেই অন্য কারণে খবরের শিরোনামে এই ট্রেন। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা বন্দে ভারতে প্রস্রাব করতে উঠেছিলেন এক যুবক। প্রস্রাব করার পর বেরিয়ে এসেই দেখেন স্টেশন ছেড়ে চলতে শুরু করেছে ট্রেন। দরজাও বন্ধ। দিশাহারা হয়ে পড়েন তিনি। শেষমেশ বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠার অভিযোগে মোটা অঙ্কের জরিমানাও দিতে হল তাঁকে। শুধু তাই-ই নয়, ভোপাল থেকে পৌঁছে যান উজ্জয়িনীতেও।
গত ১৫ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল স্টেশনে। সিঙ্গরৌলির বাসিন্দা আব্দুল কাদির। হয়াদরবাদের বেগম বাজারে তাঁর ফলের দোকান রয়েছে। সিঙ্গরৌলিতেও দোকান রয়েছে। ১৪ জুলাই স্ত্রী এবং আট বছরের পুত্রকে নিয়ে দক্ষিণ এক্সপ্রেসে করে হায়দরাবাদ থেকে সিঙ্গরৌলির উদ্দেশে রওনা হন। ১৫ জুলাই আব্দুলরা বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ভোপাল স্টেশনে নামেন।
রেলপুলিশ সূত্রে খবর, ভোপাল থেকে সিঙ্গরৌলি যাওয়ার জন্য জন্য সংযোগকারী ট্রেনের সময় ছিল রাত ৮টা ৫৫ মিনিট। হাতে অনেক সময় থাকায় আব্দুলরা স্টেশনে কিছু খাওয়াদাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্টেশনেরই দোকানে খেতে বসার সময় আব্দুলের প্রস্রাব পায়। আব্দুলের দাবি, কাছেই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল উজ্জয়িনীগামী বন্দে ভারত। তাই তিনি ভেবেছিলেন, ট্রেনের শৌচালয়ে প্রস্রাব সেরে চট করে নেমে আসবেন। কিন্তু প্রস্রাব করতে গিয়ে যে ট্রেনে আটকে পড়তে হবে, সেটা ভাবতে পারেননি। ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধ হয়ে যায়। শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আব্দুল দেখেন ট্রেন চলতে শুরু করেছে।
তাঁর অভিযোগ, কামরায় থাকা টিকিট পরীক্ষক, পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করেন ট্রেন থামানোর জন্য, তাঁরা জানিয়ে দেন, দরজা খোলার অনুমতি রয়েছে একমাত্র চালকের। আব্দুল তখন দিশাহারা হয়ে চালকের কেবিনের দিকে ছোটেন। কিন্তু তার আগেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শেষে উজ্জয়িনী পৌঁছে ট্রেন থামতে আব্দুল নামেন। বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠার জন্য তাঁকে এক হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। শেষে আরও ৮০০ টাকা খরচ করে আবার ভোপালে আসেন। তার পর স্ত্রী এবং পুত্রকে নিয়ে সিঙ্গরৌলির উদ্দেশে রওনা হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy