অভিযুক্ত ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত।
এক কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাড়া থেকে খবর পৌঁছেছিল শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে। আর সেই খবর পেয়েই সেখানে হাজির হয়েছিলেন কমিশনের কয়েক জন প্রতিনিধি। জানতে পারেন, বিয়ের বয়স না হওয়া সত্ত্বেও কন্যার বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করেছে পরিবার। কমিশনের প্রতিনিধিরা গিয়ে কিশোরীর বাড়ির লোককে বোঝান। তার পর সেই বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়।
বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেও কেন তা বাতিল করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পাত্র। পরিবারের কাছে কৈফিয়তও চান তিনি। পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এ বিয়ে আর হচ্ছে না। পাত্রীর বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে অস্বীকার করায় মেজাজ হারান পাত্র। অভিযোগ, তার পরই তাঁর হবু স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুন করেন। মাথা কেটে ফেলেন কিশোরীর। ঘটনাটি কর্নাটকের মাদিকেরির।
পুলিশ সূত্রে খবর, দশম শ্রেণিতে পড়ত ওই কিশোরী। বছর বত্রিশের প্রকাশের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তার। ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজনও করা হয়। কিন্তু সাবালক না হওয়া সত্ত্বেও বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই খবরটি রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে পৌঁছয়। কমিশনের একটি দল মাদিকেরেতে পৌঁছয়। তারা কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে জানান, এ বিয়ে বন্ধ করতে হবে। আর তখনই হুলস্থুল বেধে যায়। পাত্রীপক্ষও কমিশনের কথা মেনে নেয়। পাত্র প্রকাশকেও জানিয়ে দেওয়া হয় সে কথা।
অভিযোগ, কমিশনের সদস্যেরা চলে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ ওই কিশোরীর বাড়িতে আসেন। জোর করে ঘরে ঢুকে কিশোরীর বাবা-মাকে মারধর করেন। তার পর কিশোরীকে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে এসে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কিশোরীর পরিবার। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy