স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ শুরু করেন ইন্দ্রপাল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। — প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছেন। তিনি অন্য কাউকে ভালবাসেন। এই সন্দেহে এক মহিলাকে পিটিয়ে খুন করলেন স্বামী। রক্ষা পেল দুই নাবালক সন্তানও। তাদেরও মারধর করে প্রাণ মেরে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ৪০-এর ইন্দ্রপাল নিষাদ গুজরাতের একটি কারখানায় কাজ করতেন। কাজের সূত্রে তিনি বাইরে থাকতেন। এই সময়ের মধ্যে স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ শুরু করেন ইন্দ্রপাল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। শনিবার সন্ধ্যায় প্রবল অশান্তি হয় বাড়িতে। শুরু হয় মারধর। রাতে ইন্দ্রপালের ঘরে ঢুকে চার চারটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেখা যায় ইন্দপালের এক ছেলে এবং এক মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একটু দূরে মেলে ইন্দ্রপালের স্ত্রীর দেহ। আর ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ইন্দ্রপালকে।
একই পরিবারের চার সদস্যের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন ইন্দ্রপাল। দাবি করেন স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এখান থেকেই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy