প্রতীকী ছবি।
প্রেম নিবেদন করেছিলেন বান্ধবীকে। কিন্তু তরুণের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিশোধ নিতে বান্ধবীর ছবিতে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির মাধ্যমে কারসাজি চালিয়ে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন ওই তরুণ। এমনকি ওই তরুণীর বান্ধবীদের কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা আপত্তিকর ছবিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিযুক্ত। রবিবার ২২ বছরের ওই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি কর্নাটকের খানাপুর এলাকায় ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ওই অভিযুক্ত। তরুণীটিকে প্রেম নিবেদন করলে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। রাগের বশে ওই তরুণী এবং তাঁর বান্ধবীর ছবিতে কারসাজি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অশ্লীল ছবি তৈরি করেন অভিযুক্ত। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে সেই ছবিগুলি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন বলে তিনি তরুণীকে হুমকিও দিতে থাকেন বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানায়, তরুণীর নামে সমাজমাধ্যমে একটি ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে সেখান থেকে অশ্লীল ছবিগুলি পোস্ট করা শুরু করেন অভিযুক্ত। সঙ্গে সঙ্গে কর্নাটকের পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় সমাজমাধ্যম। কালো জিম পোশাকে অভিনেত্রীর একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীদের সন্দেহ হতে শুরু করে। ভিডিয়োটিতে যে মহিলাকে দেখা গিয়েছে তাঁর মুখ এবং কণ্ঠস্বর হুবহু রশ্মিকার মতো হলেও চেহারায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হয়, সেই ভিডিয়োটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ‘ডিপফেক’ তৈরি করা এবং সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়া দু’টিই আইনত অপরাধ। সমাজমাধ্যমে এই প্রকার কাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে সমাজমাধ্যম সাইটগুলির কাছে নোটিসও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সমাজমাধ্যমগুলির কাছে পাঠানো নোটিসে ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ডি ধারার উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তির ফোটো কিংবা ভিডিয়ো বিকৃত করেন, তাতে কারসাজি করে সমাজমাধ্যমে আপলোড করেন বা ছড়িয়ে দেন, তা হলে তাঁর তিন বছরের জেল কিংবা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। রূপান্তরিত ছবি সংক্রান্ত কোনও রকম অভিযোগ আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলি সাইট থেকে মুছে ফেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই এক্স (সাবেক টুইটার) এবং ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছে। সমাজমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলি যাতে গ্রাহকদের ‘ফেক’ ভিডিয়ো বা ছবি শেয়ার করার বিষয় সতর্ক করে, সেই বিষয়েও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy