দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। লোহার কড়াই তাঁদের মাথায় ঠুকে ঠুকে মেরেছেন তিনি। পরে মা এবং ছেলের গলায় ব্লেড চালিয়ে দিয়েছেন তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা জেলার কাপালি ওপি এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম সুখরাম মুন্ডা। সোমবার সকালে তিনি নিজের স্ত্রী এবং পুত্রকে খুন করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যে কড়াই দিয়ে খুনগুলি করা হয়েছে, মৃতদেহের সামনে থেকেই তা উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে খুনে ব্যবহৃত সেই ব্লেডও।
আরও পড়ুন:
সুখরামের স্ত্রী পার্বতী দেবী এবং তাঁদের পাঁচ বছরের সন্তান গণেশ মুন্ডার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতি দিনই তাঁদের সংসারে অশান্তি হত। সুখরাম রোজ মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। তাঁর এই নেশায় আপত্তি ছিল স্ত্রীর। ফলে বেশিরভাগ অশান্তির মূলেই ছিল মদ্যপান। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল। তাঁদের চিৎকারের শব্দ শোনা যাচ্ছিল বাইরে থেকে। আচমকা মহিলা এবং শিশুর আর্তনাদ প্রতিবেশীদের কানে যায়। তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা বাড়ি। মেঝের উপর পড়ে আছেন দু’জন। ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। তারা এসে দু’টি দেহ উদ্ধার করে। পাওয়া যায় রক্তমাখা লোহার কড়াই এবং ধারালো ব্লেড। ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক দল। স্থানীয় থানার ইনচার্জ সোনু কুমার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে তিনি এই কাণ্ড ঘটালেন, খুনের আসল উদ্দেশ্য কী, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।