বাড়িতে জোর করে ঢুকে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে সঙ্কটজনক অবস্থায় ফেলে রেখে চম্পট দেন তিনি। তরুণীকে পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের চোট্টানিক্কারা এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তরুণীর মায়ের দাবি, যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। একটি কাজে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে ফিরে কন্যার কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয়। ঘরে ঢুকতেই দেখেন কন্যা অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ কুমার বলেন, ‘‘অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তরুণীর মৃত্যু হয়।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, মায়ের সঙ্গে থাকতেন তরুণী। তাঁর বাবার অনেক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে। কিছু দিন আগেই প্রেমিক এবং তাঁর বন্ধুরা তরুণীকে শাসান। ভয়ে অন্য একটি এলাকায় কন্যাকে নিয়ে চলে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। তরুণীর বাড়িতে মাঝেমধ্যেই বন্ধুদের নিয়ে আসতেন অভিযুক্ত যুবক। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। গত ২৬ জানুয়ারি প্রেমিকার সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয় যুবকের। তার পর বৃহস্পতিবার তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।