পারিবারিক অশান্তির জেরে ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল থেকে এ নিয়ে চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম আশিস বিশ্বাস (৩০)। শুক্রবার রাতে আশিসের মা বাড়ি ফিরে দেখেন, ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছেন। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, আগেই মারা গিয়েছেন ওই যুবক। মৃতের মায়ের অভিযোগ, ছেলেকে খুন করেছেন তাঁর স্বামী। সন্ধ্যায় বাবা-ছেলে গন্ডগোল করেছিলেন। তখন ছেলের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন অমল বিশ্বাস। ছেলেকে ওই ভাবে ফেলে রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
মৃতের মা দীপালি বিশ্বাসের দাবি, তাঁর স্বামীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া স্বামী এবং সন্তান দু’জনেই নেশায় আসক্ত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। ওই মহিলা বলেন, ‘‘বাপ-ছেলে দু’জনেই নেশা করত। মাঝেমধ্যেই দু’জনের ঝামেলা হত। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ছেলে ঘরে ছিল। আমি বাইরে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে দেখি, ওর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে।’’ প্রতিবেশী তথা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় মদ, গাঁজা, হেরোইন-সহ নানাবিধ নেশার জিনিসের রমরমা। মাদক কারবার এবং বিক্রি নিয়ে নিত্য দিন অশান্তি হয় এলাকায়। একাধিক বার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে এলাকায় সমস্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করতে হবে। অন্য দিকে, বনগাঁ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরাও একাধিক বার প্রশাসনকে জানিয়ে এলাকা থেকে নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করতে পারিনি। আমরা চাই, সাধারণ মানুষের দাবিমতো এলাকায় নেশার দ্রব্য বিক্রি বন্ধ হোক।’’
আরও পড়ুন:
ইতিমধ্যে যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চলছে ঘাতক পিতার খোঁজ।