Advertisement
E-Paper

ধর্ষণের মামলায় আগাম জামিনের আর্জি, আদালতে ‘একত্রবাসের চুক্তিপত্র’ দেখালেন অভিযুক্ত!

ধর্ষণের মামলায় আগাম জামিন চেয়ে সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারীর একত্রবাসের সঙ্গী। আদালতে ‘একত্রবাসের চুক্তিপত্র’-র কথা তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২০
Share
Save

একত্রবাসের সঙ্গীর দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগে আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ অভিযুক্ত। ৪৬ বছর বয়সি ওই অভিযুক্ত মুম্বইয়ের এক নিম্ন আদালতে আবেদনে জানিয়েছেন, অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে তাঁর একত্রবাসের চুক্তি হয়েছিল। এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ, সেই চুক্তিপত্র অনুযায়ী উভয়ের কেউই একে অপরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা করতে পারবেন না। যদিও বছর ২৯এর ওই মহিলার দাবি, চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর তাঁর নয়। মামলায় ২৯ অগস্ট অভিযুক্তের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে মুম্বইয়ের ওই নিম্ন আদালত। অভিযুক্ত যে চুক্তিপত্রের কথা বলছেন, সেটির সত্যতা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।

অভিযোগকারী মহিলাও স্বীকার করে নিয়েছেন, ওই অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গে একত্রবাসে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, একত্রবাসে থাকাকালীন ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্তের আইনজীবী সুনীল পাণ্ডে বলেন, “আমার মক্কেলকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতির শিকার। তাঁরা দু’জনেই একত্রবাসে ছিলেন। চুক্তিপত্রে দেখা যাচ্ছে, উভয়েই এই সম্পর্কে সম্মত হয়েছিলেন। চুক্তিপত্রে মহিলার স্বাক্ষরও রয়েছে।”

একত্রবাসের যে চুক্তিপত্রের কথা আদালতে জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী, সেখানে মোট সাত দফা শর্তের উল্লেখ রয়েছে। প্রথমত, তাঁদের একত্রবাসের সম্পর্কের মেয়াদকাল। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ অগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গে থাকবেন। দ্বিতীয়ত, এই সময়কালের মধ্যে তাঁরা কেউ একে অপরের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনবেন না এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকবেন।

চুক্তিপত্রের তৃতীয় শর্ত, অভিযুক্তের বাড়িতেই থাকবেন মহিলা এবং যদি ওই ব্যক্তির কোনও আচরণ আপত্তিজনক হয়, তাহলে এক মাসের নোটিসে তাঁরা আলাদা হয়ে যেতে পারেন। চতুর্থ শর্ত, মহিলার কোনও আত্মীয় অভিযুক্তের বাড়িতে যেতে পারবেন না। এ ছাড়া চুক্তিপত্রে আরও উল্লেখ রয়েছে, ওই মহিলা তাঁর সঙ্গীর কোনও মানসিক পীড়ার কারণ হবেন না। যদি এই একত্রবাসের সময়কালে মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তাহলে তার দায় তাঁর সঙ্গীর। যদি কোনও হেনস্থার কারণে ওই ব্যক্তি মানসিক আঘাত পান, তবে সেটির দায় থাকবে মহিলার। যদিও এই চুক্তিপত্রের সত্যতা বর্তমানে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

Mumbai Live In Relationship

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}