কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। —ফাইল চিত্র।
এর আগে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে। এ বার সরাসরি আইনি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে গেলে আধার সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে বলে যে নির্দেশ কেন্দ্র দিয়েছে, তাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে আজই সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। সোমবার আদালত এই আবেদনের শুনানি গ্রহণ করবে।
বুধবার তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রের আধার নির্দেশিকার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে আধার সংক্রান্ত তথ্য তিনি কিছুতেই দেবেন না, উষ্মার সঙ্গে জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পারলে তাঁর মোবাইল কানেকশন কেটে দিক সংশ্লিষ্ট সংস্থা। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার অবশ্য চ্যালেঞ্জটা শুধু মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারীর প্রতি সীমাবদ্ধ রইল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এ বার চ্যালেঞ্জ জানাল খোদ কেন্দ্রীয় সরকারকে।
আরও পড়ুন: ‘দিদি’, ‘দাদাগিরি’ ঢুকে পড়ল অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে
আরও পড়ুন: সত্যিই কি গোপন করা হচ্ছে তথ্য? জানতে তদন্তে নামছে কেন্দ্র
কেন্দ্রীয় সরকার আগে জানিয়েছিল, জনকল্যাণমূলক সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে হলে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আধার নথি জমা দেওয়া আবশ্যিক। কিন্তু বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানায়, ওই সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর নয়, আধার লিঙ্ক করানোর জন্য ২০১৮-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে বলে কেন্দ্র জানায়। যাঁদের আধার কার্ড রয়েছে, তাঁদের জন্য সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বরই থাকছে। কিন্তু আধার যাঁদের নেই অথবা যাঁরা আধার পাওয়ার আবেদন করেছেন, তাঁদের জন্যই সময়সীমা তিন মাস বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের আধার সংক্রান্ত নির্দেশিকা মানতে রাজি নয়। সেই কারণেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy