ফাইল চিত্র।
ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে বুধবারই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করলেন তিনি। সূত্রের খবর, একই সঙ্গে এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আড়ি পাতা নিয়ে মন্ত্রী এবং অফিসারদের সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। টেনে এনেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্যের রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রসঙ্গও।
পেগাসাস-কাণ্ডকে আমেরিকার ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির ( তৎকালীন বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটদের অফিসে আড়ি পাতার ঘটনা) থেকেও বড় কেলেঙ্কারি আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “লোকসভা চলছে। সেই সময় কোনও কেলেঙ্কারি সামনে এলে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া উচিত। পেগাসাস খুব বড় কেলেঙ্কারি। দেশের মানুষকে সেই তথ্য জানানো উচিত।”
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাকে কেড়ে নিতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকার না করে প্রতিবাদীদেরই কণ্ঠরোধ করতে চাইছে কেন্দ্র। তাঁর কথায়, “এ বিপজ্জনক খেলা। এমন একনায়কতন্ত্রী মনোভাবকে দেশের মানুষ ভাল ভাবে গ্রহণ করেন না।”
পেগাসাস-কাণ্ডের ছায়া এ দিন পড়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও। কারও অতি জরুরি আলোচনা বা নির্দেশ থাকলে, ফোনের বদলে তা সামনাসামনি কথা বলে সেরে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। কালীঘাটে দলীয় বৈঠকের কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সব নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলিকে এ ভাবেই করায়ত্ত করতে চাইছে কেন্দ্র। মমতার মন্তব্য, “সুপার এমারজেন্সি চলছে।”
এই সূত্রেই ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। যখন ঘটেছিল, তখন আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করছে। সেই কমিশনের সদস্য শুনেছি বিজেপির সদস্য। তিনি জাতীয় স্তরে বিজেপির ছাত্র সংগঠন করতেন। বিজেপি থেকে যা বলেছে, তা লিখে জমা দিয়েছে। আদালত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে। নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করে দেওয়া হলে গণতন্ত্র থাকে না।”
নিজের ফোনে স্টিকিং প্লাস্টার লাগিয়ে পেগাসাস-কাণ্ডের প্রতীকী প্রতিবাদ জানান মমতা। এ দিনও মোবাইল দেখিয়ে তিনি বলেন, এই আড়ি পাতা প্রযুক্তি কেন্দ্র ছাড়া কেউ কিনতে পারে না। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে ভারত সরকার কেন এই যন্ত্র কিনেছে, তার জবাবদিহি চেয়েছেন মমতা। তাঁর মন্তব্য, “অভিষেক এবং আমার দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলতে চাই না। নির্বাচনের সময় আমাকে ভুগতে হয়েছে। এর পিছনে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জানি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর এমন হানাদারি চললে তা বিপজ্জনক। আমাকে তারা মারতে পারে, ১৩০ কোটি মানুষকে মেরে ফেলতে পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy