নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মহাকুম্ভের ১৮ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় এ বার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে তিনি ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করলেন। জানালেন, এই ঘটনাই দেখিয়ে দিল, নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সঠিক পরিকল্পনা কতটা জরুরি।
সমাজমাধ্যমে মমতা লিখেছেন, ‘‘দিল্লিতে ১৮ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর হৃদয়বিদারক। এই ঘটনা আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিল, নাগরিকদের সুরক্ষার প্রশ্নে সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা কতটা জরুরি। যাঁরা মহাকুম্ভে যাচ্ছেন, তাঁদের আরও উন্নত পরিষেবা পাওয়া উচিত। এই ধরনের যাত্রা যাতে নিরাপদে এবং সুসংহত ভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে এটিই মমতার প্রথম বার্তা।
আরও পড়ুন:
এর আগে শনিবারের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োবার্তা পোস্ট করে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন। সাগরিকা এই ঘটনার জন্য সরাসরি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, ‘‘কুম্ভের ভিড় নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদী সরকার। এই ধরনের ঘটনার দায় এড়িয়ে এরা শুধু তথ্য লোকানোর চেষ্টা করে। শুধু সরকারের অদক্ষতার জন্য এত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।’’
নয়াদিল্লির ঘটনা প্রসঙ্গে রবিবার সকাল থেকেই বিরোধীরা একযোগে মোদী সরকারকে তুলোধনা করছে। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গের মতো নেতারা এই ঘটনা এবং ১৮ জনের মৃত্যুর জন্য সরকারের অব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। দিল্লির সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মারলেনা বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বা উত্তরপ্রদেশের সরকার মানুষের নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত নয়। এই ঘটনা মানা যায় না।’’ অভিযোগ, মৃতের সংখ্যা লুকোনোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব জানিয়েছেন, এই ঘটনার দায় নেওয়া উচিত রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। এ বার মুখ খুললেন মমতাও।