সাত বছর ধরে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বকেয়া পড়ে রয়েছে পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসীর! মুম্বইয়ের মালাবার হিল এলাকায় একটি আবাসনের নবম, দশম এবং একাদশ তল মিলিয়ে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে চোকসীর। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ওই আবাসনের সদস্যেরা জানান, ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৬৩ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে তাঁর।
ওই আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, ২০২০ সালে আবাসনের ফ্ল্যাটগুলিতে কিছু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়েছিল। তাতে ফ্ল্যাটপিছু প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। সেই টাকা যোগ করে চোকসীর তিনটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ পড়়েছে বলে দাবি মালবার হিল এলাকার ওই আবাসনের বাসিন্দাদের। এক বাসিন্দা বলেন, “ফ্ল্যাটে গাছ গজাতে শুরু করেছে। গাছের শিকড়গুলি ফ্ল্যাটবাড়িকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি আমাদের কাছে একটি বোঝা হয়ে উঠেছে। কোনও দোষ না করেই ওই বোঝা আমাদের বহন করতে হচ্ছে।” তবে ভারতীয় আইন ব্যবস্থা এবং তদন্তকারীদের উপর আস্থা রাখছেন আবাসনের বাসিন্দারা। তাঁদের আশা, হয়তো আগামী দিনে ওই বকেয়া টাকা তাঁরা ফেরত পাবেন।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল চোকসীর। তিনি একা নন, এই মামলায় নাম জড়ায় তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদী, তাঁর স্ত্রী এবং ভাইয়েরও। ২০১৮ সালে পিএনবি কেলেঙ্কারি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। তবে তার আগেই ভারত ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা সেরে ফেলেছিলেন চোকসী। ২০১৭ সালেই অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব লাভ করেন তিনি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত থেকে চলে যান চোকসী। পরে তিনি বেলজিয়ামে যান। ২০২৪ সালের নভেম্বরে বেলজিয়ামের নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন। সেখানেই থাকেন তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসীও। তিনি বেলজিয়ামের নাগরিক। তাঁর নথি ব্যবহার করেই বেলজিয়ামে থাকার ব্যবস্থা করেন পলাতক ভারতীয় ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন:
গত শনিবার বেলজিয়ামের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে জানা যায়, ভারতের অনুরোধেই তাঁকে গ্রেফতার করেছেন বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ। চোকসীকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে চায় ভারত সরকার। ইডি, সিবিআই, আইন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে বেলজিয়ামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।