Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Cash for Queries

মহুয়ার ভাগ্য নির্ধারণকারী বৈঠক পিছিয়ে গেল দু’দিন, মঙ্গলে নয়, বৃহস্পতিতে বসবে এথিক্স কমিটি

পিছিয়ে গেল এথিক্স কমিটির বৈঠক। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৭ নভেম্বর, মঙ্গলবার। কিন্তু সোমবার জানা যায়, সেই বৈঠকের দিন পরিবর্তন করা হয়েছে।

Mahua Moitra

মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:১৫
Share: Save:

পিছিয়ে গেল সংসদের এথিক্স কমিটির বৈঠক। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৭ নভেম্বর, মঙ্গলবার। সোমবার জানা গেল, সেই বৈঠক হবে ৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ করার অভিযোগের বিষয়ে আগেই এথিক্স কমিটির বৈঠক হয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে আসেন মহুয়া। অভিযোগ করেন, আপত্তিকর প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। এ নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন মহুয়া। তার পর জানা গিয়েছিল, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আবার মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছে এথিক্স কমিটি। এবং ওই দিনই তদন্ত রিপোর্টের খসড়া তৈরি হতে পারে। কিন্তু হঠাৎই বদলে গেল বৈঠকের দিন।

এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘শুনেছি ৯ তারিখ বৈঠক ডেকেছে। আমি এলাকায় (কৃষ্ণনগরে) আছি। এর বেশি কিছু জানি না।’’

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি করছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। দুবের অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়ার সাসপেনশনের দাবিও তোলেন তিনি। এর পরেই হীরানন্দানি হলফনামা দিয়ে জানান, মহুয়ার সংসদের লগইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন তিনি। তবে ঘুষের অভিযোগ মানেননি। মহুয়াও নিজের লগইন আইডি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মানেননি।

গত বৃহস্পতিবার মহুয়ার বক্তব্য শুনেছে বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকারের নেতৃত্বাধীন এথিক্স কমিটি। ১৫ জন সদস্যের প্যানেলে ছিলেন বিরোধী সাংসদেরাও। তৃণমূল সাংসদ বৈঠক শেষ না হতেই বেরিয়ে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁকে ‘ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক’ প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্নের মাধ্যমে মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন মহুয়া। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। সোনকার পাল্টা অভিযোগ করেন, মহুয়া তদন্তে ‘অসহযোগিতা’ করেছেন। বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা ষড়ঙ্গী জানান, মহুয়া সব ধরনের শিষ্টাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, মহুয়া জানান, বৈঠকে তিনি গালে হাত রেখেছিলেন তা নিয়েও ‘বাজে’ কথা বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা সব কিছুই ধরছিলেন। বাজে কথা বলছিলেন। ওঁরা বলেন, ‘আপনার চোখে জল’। আমার চোখে কি জল? আপনারা দেখতে পারছেন?’’ অন্য এক বিরোধী সাংসদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এটা অতিরিক্ত ছিল।’’ মহুয়াকে যে ভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিএসপির সাংসদ দানিশ আলি। সূত্রের খবর, মহুয়া রাতে কোন হোটেলে ছিলেন, কার সঙ্গে কথা বলেছেন, এ ধরনের ‘ব্যক্তিগত’ বিষয়েও প্রশ্নও করেছেন কমিটির প্রধান সোনকার। যদিও কমিটির তরফে সোনকার জানান, আরও প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই বেরিয়ে যান মহুয়া। তিনি এও দাবি করেছেন, মহুয়া বৈঠকে কিছু ‘আপত্তিকর শব্দ’ ব্যবহার করেছেন।


সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy