প্রতীকী চিত্র।
ফুরিয়ে আসছে টিকা, কেন্দ্রকে বিপদবার্তা দিয়ে বলেছিল মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ। বুধবার টিকায় ঘাটতির সেই অভিযোগ অস্বীকার করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানালেন, টিকা সরবরাহে ঘাটতির প্রশ্নই নেই। সময় থাকতেই প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা সরবরাহ করা হবে রাজ্যগুলিকে।
বুধবার সকালে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে কেন্দ্রকে জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের উত্তরোত্তর বৃদ্ধির মধ্যেই টিকার মজুতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে মজুত না বাড়ালে আগামী তিন দিনের মধ্যেই রাজ্যে টিকাকরণ বন্ধ হয়ে যাবে।
কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে রাজেশ জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের হাতে ১৪ লক্ষ টিকার ডোজ ছিল। এর মধ্যে মুম্বইয়ে ১ লক্ষের কিছু বেশি। তবে যে হারে টিকাকরণ হচ্ছে, তাতে দ্রুত সেই মজুতও ফুরিয়ে আসবে।
প্রতি সপ্তাহে ৪০ লক্ষ টিকাকরণ হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। গড়ি প্রতি দিন টিকা নিচ্ছেন ৪-৫ লক্ষ মানুষ। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসচিব প্রদীপ ব্যাস বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে যে পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে, তা দিয়ে কোনও মতে আর ৩ দিন চলবে টিকাকরণ। মজুতের অভাবে তাই বাধ্য হয়েই বন্ধ করতে হয়েছে রাজ্যের বহু টিকাকরণ কেন্দ্রও।’’
জানুয়ারি থেকে ৮২ লক্ষের টিকাকরণ হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তার আগে কেন্দ্রের তরফে ১.০৬ কোটি টিকা সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৮৮ লক্ষ টিকা ব্যবহার হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ৩ শতাংশ। বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে অবিলম্বে দেড় কোটি টিকা সরবরাহের অনুরোধ করেছেন। মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর বলেন, ‘‘আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে যাতে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের ৬টি জেলার ৪৫-ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়া যায়, তার জন্যই ওই দেড় কোটি টিকার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।’’ বুধবার দুপুরে রাজেশের সেই চিঠির জবাবেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান।
বুধবার কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে মহারাষ্ট্রে টিকাকরণের বয়সসীমা বাড়িয়ে ২৫-ঊর্ধ্ব করার অনুরোধও করেছেন রাজেশ। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, করোনা্র দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ২৫-৪০ বছর বয়সিরাই। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে এঁদেরও টিকাকরণ জরুরি। কেন্দ্র অবশ্য এই ব্যাপারে কোনও জবাব দেয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১.১৫ লক্ষ জন। গত কয়েক মাসের ধারা বজায় রেখে এখনও সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রেই। এরই মধ্যে বুধবার করোনার নতুন প্রকারভেদের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন এই প্রকারভেদ অপেক্ষাকৃত দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে অনুমান। বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে এরই মধ্যে নমুনা পাঠানো হয়েছে গবেষণাগারে।
এ দিকে, করোনাকে ঠেকাতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মিনি লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করে না, এমন সমস্ত দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। বুধবার সেই লকডাউন শুরু হলে তার প্রতিবাদে পথে নামেন ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy