উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশনের হাতে না যায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠী। কিন্তু মঙ্গলবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিল।
সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার ‘প্রকৃত শিবসেনা’ বাছার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুমতি দিয়েছে কমিশনকে। একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারানোর তিন মাস পরে শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে এ বার দলের ‘নিয়ন্ত্রণও’ হারাতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে।
শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী নিজেদের প্রকৃত শিবসেনা বলে দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল। অন্য দিকে, শিন্ডেসেনার বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ এবং শিবসেনার পতাকা ও নির্বাচনী প্রতীকচিহ্নের দাবিতে পৃথক আবেদন করেছিল উদ্ধব গোষ্ঠী। সুপ্রিম কোর্ট ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল, মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত যেন এ ব্যাপারে তারা কোনও পদক্ষেপ না করে। মঙ্গলবার সেই ক্ষমতা দেওয়া হল কমিশনকে।
শিবসেনার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে উদ্ধব এবং শিন্ডের আইনি লড়াইয়ের শুনানির জন্য জুলাই মাসে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়েছিল শীর্ষ আদালত। এর পর শুনানিতে শিন্ডে শিবিরের আইনজীবী নীরজকৃষ্ণ কল আবেদন জানান, মামলার দ্রুত শুনানি হোক। তা না হলে ‘প্রকৃত’ শিবসেনা কারা— সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন।
অন্য দিকে, উদ্ধব শিবিরের আইনজীবী কপিল সিব্বল মঙ্গলবার আদালতে আবেদন জানান, দলবিরোধী কাজে অভিযুক্ত শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের পদ খারিজের মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন কমিশনকে শিবসেনার ‘মালিকানা’ নিয়ে আবেদনের শুনানির অনুমতি না দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যদি আগেই শিন্ডে গোষ্ঠীকে ‘প্রকৃত শিবসেনার’ মর্যাদা দিয়ে দেয়, তবে বিধায়ক পদ খারিজের দাবির মামলা গুরুত্ব হারাবে।’’ কিন্তু সেই যুক্তি, পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ খারিজ করে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy