ভারতের বিদ্যুৎ পরিষেবায় নজর চিনের! —ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য কি চিনা সাইবার হানাই দায়ী? কেন্দ্রের তরফে এখনও জবাব মেলেনি। কিন্তু সেই অভিযোগ এ বার মেনে নিল মহারাষ্ট্র সরকার। জানিয়ে দিল, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই তাদের হাতে এই সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট এসে পৌঁছবে বলেও সরকারি সূত্রে খবর।
লাদাখে সঙ্ঘাত চলাকালীন ক্ষতিকারক ভাইরাস ছড়িয়ে ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে চিন কাবু করে ফেলে বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আমেরিকার সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ‘রেকর্ডেড ফিউচার’। তা নিয়ে বিশদে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সে দেশের ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ সংবাদপত্র। সোমবার ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
তার পরেই সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ মন্ত্রী নিতিন রাউত। তিনি বলেন, ‘‘নিউইয়র্ক টাইমসের দাবিতে সত্যতা রয়েছে। ৩ সদস্যের কমিটি গড়েছি আমরা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন তাঁরা। সাইবার বিভাগের কাছ থেকে আজ সন্ধ্যাতেই বিশদ রিপোর্ট হাতে পাব।’’
করোনা আবহেই ২০২০ সালে লাদাখে একাধিক বার সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হয় ভারত ও চিন। তাতে দু’পক্ষেই প্রাণহানি ঘটে। সেই সময়ই, অর্থাৎ ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোভিড রোগীতে ভর্তি হাসপাতাল চালু রাখতে হয় জেনারেটরে। সব ধরনের উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। তার জেরে ধস নামে শেয়ার বাজারেও। মাত্র ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
সেই সময় জানা যায়, কালওয়াতে সেন্ট্রাল লাইনে গ্রিড বসে যাওয়াতেই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। তবে এর পিছনে ভাইরাস হানা থাকতে পারে বলেও সন্দেহ দেখা দেয় তখনই। নভেম্বরে মহরাষ্ট্র সাইবার বিভাগ তেমন প্রমাণও হাতে পায় বলে জানা যায়।
কিন্তু তার পর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারকেও এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। যদিও ‘রেকর্ডেড ফিউচার’-এর দাবি, গবেষণা করে যা উঠে এসেছিল, তা দিল্লিকে জানিয়েছিল তারা। কিন্তু সেখান থেকে কোনও উত্তর আসেনি। সোমবার ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ রিপোর্টটি প্রকাশ পাওয়ার পরই নতুন করে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তার পরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে মহারাষ্ট্র সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy