হিমন্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তৃণমূলের।
অসমের বন্যায় ৫৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ৩২টি জেলার চার হাজার ৯৪১টি গ্রাম বানভাসি। এই পরিস্থিতিতেও উত্তর-পূর্ব ভারতের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বন্যা পরিস্থিতি সামলানোর বদলে রাজধানী গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেলে ঠাঁই নেওয়া মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের তুষ্ট করতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটির ওই হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। অসমের তৃণমূল নেতা রিপুন বরা বলেন, ‘‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের রাজ্যে চার শিশু-সহ আরও ১২ জনের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ আমাদের রাজ্যের রাজকোষের টাকা খরচ করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করছেন।’’ অসমের সম্পদ খরচ করে বিজেপি বিধায়ক কিনে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গুয়াহাটিতে বিজেপির ‘হেফাজতে’ থাকা একনাথ শিন্ডে-সহ ৩৪ জন ‘বিদ্রোহী’ শিবসেনা বিধায়ক বুধবার নিজেদের ‘প্রকৃত শিবসেনা পরিষদীয় দল’ দাবি করে চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি এবং ডেপুটি স্পিকার নিহারী সীতারাম জিরওয়ালকে। বৃহস্পতিবার সকালে মহারাষ্ট্র থেকে বিমানে এসে আরও তিন বিধায়ক গুয়াহাটির ওই বিলাসবহুল হোটেলে হিমন্তের ‘অতিথি’ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, উদ্ধব ঠাকরের সরকারের পতনের পর শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পর এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বিদ্রোহী ভাইপো অজিত পওয়ারের সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। এ বার সেই ‘মডেল’ অনুসরণ করতে চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ফের শরদের শিবিরে ফিরেছিলেন অজিত। ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন দেবেন্দ্র।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy