(বাঁ দিকে)রাহুল গান্ধী, নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আজ নভি মুম্বই, পানভেল এবং শিবাজি পার্ক-এর বিভিন্ন জনসভায় কংগ্রেস তথা মহাবিকাশ আঘাড়ীকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক দিকে বাংলাদেশের নাম করে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তুললেন। বললেন, কংগ্রেস প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে তারা ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের স্বল্পমূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দেবে। অন্য দিকে তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস বরাবরই গরিবের অবস্থার উন্নতি হলে রেগে যায়। তফসিলি জাতি, জনজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেনির মানুষদের বিভিন্ন জাতির নামে ভাগ করতে চায়, তাদের মধ্যে ঝগড়া বাধাতে চায় কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রের মানুষের উন্নতির জন্য বিজেপি এবং বিরোধী মহাযুতি -কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে গরিব এবং মহিলা শ্রেণিকে তা স্পষ্ট করে মোদী বলেন, “দেশ তখনই এগোবে যখন গরিবেরা আগে এগোবে। কংগ্রেস দল বরাবর গরিবকে গরিব হিসেবেই রেখে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়ে চলেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা ‘গরিবি হঠাও’-এর মিথ্যা প্রচার করতে থাকে। আজ স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও দেশের বেশির ভাগ মানুষ রুটি, কাপড় আর মকানের জন্য লড়াই করেছে।” মোদীর দাবি, “আমরা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র থেকে বাইরে এনেছি, ৪ কোটি পথবাসীকে মাথার উপর পাকা ছাদ দিয়েছি। ১২ কোটি শৌচালয় বানিয়েছি। মহাযুতির নীতি শোষিত এবং বঞ্চিতের জন্য তৈরি করা নীতি।” তিনি বলেন, “প্রতি মাসে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করি। কেউ কি এর বিরোধ করতে পারে? গরিবের ঘরে উনুন জ্বললে কারও আপত্তির কারণ থাকা সম্ভব? কিন্তু কংগ্রেস এতে খুশি নয়। তারা বলছে যে, ২৫ কোটি মানুষ যাঁরা দারিদ্র থেকে বেরিয়েছেন, তাঁরাও কেন বিনামূল্যে রেশন পাবেন! আঘাড়ি যদি এই রাজ্যে সরকার গড়ার সুযোগ পায়, তা হলে মহারাষ্ট্র আবার দারিদ্রের অন্ধকারে ডুবে যাবে।”
এর পরেই তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গে আসেন। মোদীর কথায়, “ঝাড়খণ্ডে এক কংগ্রেস নেতা ঘোষণা করেছেন, তাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের সস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার দেবেন। আপনারাই বলুন, কেন তাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের পুজো করতে চান? কংগ্রেস বলছে, রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের লোকেদের সস্তায় গ্যাস দেবে। ভোট পাওয়ার জন্য কংগ্রেস আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে। কংগ্রেস গরিবের শত্রু। তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে।”
মহারাষ্ট্রের নারীভোটের মন জয়ের জন্য শাসক শিবির ‘মহাযুতি’ গোড়া থেকেই সক্রিয়। ‘লাডলি বহেন’ যোজনার প্রচার করে চলেছেন মহাযুতির নেতারা। মোদীর কথায়, “মহাযুতি রাজ্যের মহিলাদের ডাবল লাভ দিচ্ছে, মাতাজি লাডলি বহেন যোজনার মাধ্যমে। কংগ্রেস এবং আঘাড়ী জোট বহেনদের এই যোজনার বিরোধ করছে, যোজনা রুখতে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এদের উদ্দেশ্য বিপজ্জনক। এই সভায় উপস্থিত মা-বোনদের বিশেষ করে বলছি, মহাবিকাশ আঘাড়ী যেন কোনও ভাবেই সরকারে আসার সুযোগ না পায়।” রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্য, “শাহজাদা বিদেশ গিয়ে বলেছেন, সুযোগ পেলেই সংরক্ষণ খতম করে দেবেন। দলিত, পিছড়ে বর্গ,জনজাতি একজোট না থাকলে দুর্বল হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy