মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের একটি হোটেলে তরুণীকে খুন করে পর পর কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করে দেখাক। শনিবারই সেই অভিযুক্তকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ৭ নভেম্বর জবলপুরের একটি হোটেলে এক তরুণীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম শিল্পা ঝরিয়া। তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে অভিজিৎ পাতিদার নামে বিহারের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তরুণীকে খুন করে পর পর কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন অভিযুক্ত।
একটি ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত নয়।” তার পরই তিনি কম্বলের নীচে তরুণীর গলাকাটা দেহটি দেখান। তার পর আরও কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তার মধ্যে একটিতে পুলিশকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত।
এই ঘটনায় জিতেন্দ্র পটেল এবং সুমিত পটেল নামে দু’জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু অভিজিতের হদিস মিলছিল না। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান-সহ তিন রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজে চলছিল তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত দশ দিন ধরে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ ঘুরেছেন অভিযুক্ত। প্রতি ১২ ঘণ্টায় অবস্থান বদলাচ্ছিলেন। অবশেষে শনিবার রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিৎকে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের আসল নাম হেমন্ত ভাড়ানে। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy