খরগোন। ফাইল চিত্র।
১৭ এপ্রিল তার দিদির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তাই গত ১১ তারিখ খরগোন শহরের মামার বাড়ি থেকে পাশের ধার জেলায় নিজের গ্রামে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু বাড়ি ফেরার ঠিক এক দিন আগে গোষ্ঠী সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মারাত্মক জখম হয় সে। ১৬ বছরের সেই কিশোর, শিবম শুক্ল এখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।
আদতে ধার জেলার নিসারপুর গ্রামের বাসিন্দা শিবম গত পাঁচ বছর ধরে মামার বাড়িতেই থাকত। খরগোনের জমিদার মহল্লায় তার মামার বাড়ি। খরগোনের সরকারি কলেজে পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করছিল সে। তার দিদা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১১ তারিখ নিজের দিদি, কৃতিকার বিয়ে উপলক্ষে নিজের গ্রামে ফেরার কথা ছিল শিবমের। কিন্তু তার আগের দিনই অর্থাৎ ১০ এপ্রিল শহরে রাম নবমীর মিছিল নিয়ে গোলমাল বাধে। আরতি দেখতে বেরিয়েছিল শিবম। দু’পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হয় ওই কিশোর। তার মাথায় ইটের আঘাত লাগে। চোখের জল মুছতে মুছতে তার দিদা সাংবাদিকদের বলেন, “আমার নাতিকে আমি ফেরত চাই।”
অবস্থার অবনতি হওয়ায় মধ্যপ্রদেশ সরকার শিবমকে ইন্দোরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচও বহন করছে রাজ্য সরকার। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে খরগোনের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কী ভাবে ওই নাবালকের উপরে হামলা হল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
তবে শিবমের বাবা পুরুষোত্তম শুক্ল জানালেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় কাল থেকে চিকিৎসায় সামান্য সাড়া দিচ্ছে তাঁর ছেলে। আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা। কৃতিকার বিয়ে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তাঁর হবু শ্বশুরবাড়ির লোক জন শিবমের চিকিৎসা নিয়েই এখন ব্যস্ত বলে জানাচ্ছেন তার বাবা।
সে দিনের সংঘর্ষে ছয় পুলিশ কর্মী-সহ অন্তত ২৪ জন আহত হন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হামলায় অভিযুক্তদের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy