আহতের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ বেড়ে যাওয়ায় আহতকে বুলডোজারে চাপিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন স্থানীয়রা। ছবি: টুইটার।
পথ দুর্ঘটনার কবলে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। আধ ঘণ্টা কেটে গেলেও নিতে আসেনি অ্যাম্বুল্যান্স। পরোয়া না করে আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল বুলডোজারে চাপিয়ে। মধ্যপ্রদেশের কাটনির ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইক চেপে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন গাইরতলাইয়ের বাসিন্দা মহেশ বর্মণ। অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা খায় তাঁর বাইকটি। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর কথা বলা হয়। কিন্তু আধ ঘণ্টা পরেও এসে পৌঁছয় না অ্যাম্বুল্যান্স। অবশেষে আহতের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে বুলডোজারে চাপিয়েই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুষ্পেন্দ্র বিশ্বকর্মা নামে এক ব্যক্তি ওই বুলডোজারের চালক। তাঁর দোকানের বাইরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করে করে অবশেষে তিনিই আহত মহেশকে বুলডোজারে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মহেশকে বুলডোজারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
साइकिल, ठेले, कंधे के बाद अब मरीज सीधे जेसीबी में! कटनी का मामला है लोगों का कहना है कि एंबुलेंस सेवा को कॉल किया था लेकिन मिली नहीं. @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/CfxRlNfXEM
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) September 13, 2022
প্রসঙ্গত, বিজেপি-শাসিত এই রাজ্যে প্রতি বছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে অনেক টাকা বরাদ্দ থাকলেও অ্যাম্বুল্যান্স না আসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে।
মধ্যপ্রদেশে অ্যাম্বুল্যান্স ব্যতীত অন্য কোনও ভাবে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রথম নয়। গত মাসে, দামোহ জেলার একই রকম একটি ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় আসন্নপ্রসবা স্ত্রীকে একটি ঠেলাগাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশাসনের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy