—প্রতীকী ছবি।
বিশেষ বিবাহ আইনে মুসলিম পুরুষ ও হিন্দু নারীর মধ্যে বিয়ে নথিবদ্ধ হলেও তা মুসলিম ব্যক্তিগত আইন অনুযায়ী বৈধ নয় বলে রায় দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। এই রায় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আইনজীবী শিবিরে।
পরিবারের অমতে বিয়ে করবেন বলে স্থির করেছেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা সাফি খান ও সারিকা সেন। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তাঁরা জানান, বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করতে চান তাঁরা। ওই আইনে ভিন্ ধর্মের দম্পতির বিয়ে করার অধিকার রয়েছে। বিয়ে রুখতে পরিবারের তরফে ফৌজদারি মামলা এড়াতে এবং বিবাহ নিবন্ধকের কাছে নিরাপদে হাজিরার জন্য পুলিশি সুরক্ষা চেয়ে হাই কোর্টে আর্জি পেশ করেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু হাই কোর্টের বিচারপতি জি এস অহলুওয়ালিয়া জানান, বিশেষ বিবাহ আইনে নথিবদ্ধ হলেও মুসলিম ব্যক্তিগত আইন অনুযায়ী মুসলিম পুরুষের সঙ্গে পৌত্তলিকাবাদে বিশ্বাসী বা অগ্নির উপাসক কোনও ধর্মাবলম্বী মহিলার বিয়ে বৈধ নয়। ফলে সাফি ও সারিকার আর্জি খারিজ করেছেন বিচারপতি। খারিজ হয়েছে পুলিশি সুরক্ষার আর্জিও।
কলকাতা ও বম্বে হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এই রায় নিয়ে প্রশ্ন আছে। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের এই রায়ে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনকে বিশেষ বিবাহ আইনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও বিচার করা যেতে পারে।’’ আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতার মতে, ‘‘বিশেষ বিবাহ আইনে যে কোনও ধর্মের পুরুষ ও মহিলার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিধান রয়েছে। রায়টি বিস্ময়কর। আমার ধারণা, রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’’ একই মত আইনজীবী শেখ সেলিম রহমানের। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের মতো বৈচিত্রপূর্ণ দেশে বিভিন্ন ধর্ম, জাতের পাত্রপাত্রীর জন্যই বিশেষ বিবাহ আইন তৈরি হয়েছে। ফলে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের রায় নিয়ে নিঃসন্দেহে প্রশ্ন রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy