প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত লোনি-কাণ্ডে ফের টুইটারকে নোটিস পাঠাল গাজিয়াবাদ পুলিশ। এই নিয়ে তৃতীয় বার। মঙ্গলবারের নোটিসে বলা হয়েছে, এই মামলায় মাইক্রোব্লগিং সাইটের প্রাক্তন আধিকারিক ধর্মেন্দ্র চতুরকে থানায় হাজিরা দিয়ে পুলিশের কাছে তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণ বিষয়ে এ দেশে টুইটারের প্রাক্তন আধিকারিক চতুরকে ফৌজদারি বিধির (সিআরপিসি) ৪১এ ধারায় ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে। চতুর ছাড়াও কংগ্রেসের সলমন নিয়াজি, মাসকুর উসমানি, শমা মহম্মদকেও একই নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। লোনি-মামলার এফআইআরে এঁদের সকলেরই নাম রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, ৫ জুন গাজিয়াবাদের লোনি শহরে সুফি আব্দুল সামাদ নামে এক বৃদ্ধকে দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রাস্তায় তাবিজ বিক্রি করার সময় তাঁকে জোর করে ‘বন্দে মাতরম্’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলে ওই দুষ্কৃতীরা। এমনকি, বৃদ্ধের দাড়িও কেটে নেওয়া হয়। পুলিশ কাছে বৃদ্ধের আরও অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃদ্ধকে মারধরের ভিডিয়ো টুইটারে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়। যদিও ভিডিয়োটি ভুয়ো বলে দাবি করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার অভিযোগ ওঠে টুইটারের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি এইচসি অবস্তি দাবি করেন, গোটা ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি ছড়াতেই তা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
ভারত সরকারের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী, টুইটার-সহ নেটমাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় বিষয়বস্তুর উৎস খতিয়ে দেখতে বা তা সরকারকে জানাতে দায়বদ্ধ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে সম্প্রতি টুইটারের ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মহেশ্বরীকেও তলব করে গাজিয়াবাদ পুলিশ। পাশাপাশি ১৫ জুন টুইটার ছাড়াও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। লোনি-কাণ্ডের ভিডিয়ো শেয়ার করায় লেখক সাবা নাকভি, সাংবাদিক মহম্মদ জুবের এবং রানা আইয়ুব-সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতা-নেত্রীরও নামও এফআইআরে রয়েছে বলে জানিয়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy