ওম বিড়লা। ছবি: পিটিআই।
পঁচিশ বছর আগের ঘটনা। যোগী আদিত্যনাথ সে বারই প্রথম গোরক্ষপুর থেকে লোকসভায় সাংসদ হয়ে এসেছেন। তাঁর সুপারিশে ব্রিজমোহর উপরেটি ও দেবেন্দ্র নেগি নামের দুই ব্যক্তি লোকসভার দর্শক গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছিলেন। সংসদের অধিবেশনের মধ্যে আচমকাই দু’জন স্লোগান দিতে থাকেন। দর্শক গ্যালারি থেকে লোকসভার মধ্যে লিফলেটও ছড়িয়ে দেন। আদিত্যনাথ সে সময় ২৬ বছরের তরুণতম বিজেপি সাংসদ।
সংসদের চলতি অধিবেশনে দুই যুবক দর্শক গ্যালারি থেকে লোকসভায় ঝাঁপিয়ে পড়ে হাঙ্গামা বাধানোর পর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। কারণ তাঁর সুপারিশ বা সই করা চিঠির ভিত্তিতেই সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন নামের দুই তরুণকে দর্শক গ্যালারিতে ঢোকার পাশ দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীরা দাবি তুলেছেন, কর্নাটকের মাইসুরু-কোডাগু কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ প্রতাপকে সাসপেন্ড করতে হবে।
এই ঘটনা নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা শনিবার সমস্ত সাংসদদের চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে এর আগে অতীতে এই ধরনের ১৭টি ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। কোন সাংসদের সুপারিশে কারা সংসদে হাঙ্গামা করেছিলেন, তারও খতিয়ান রয়েছে। সেই নথিই বলছে, গত বুধবারের মতো দর্শক গ্যালারি থেকে হাঙ্গামা বাধানোর শেষ ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে। হাঙ্গামাকারীরা উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সুপারিশে সে বার সংসদে ঢুকেছিলেন। তাঁরা অবশ্য সভাকক্ষে
ঝাঁপিয়ে পড়েননি।
লোকসভার স্পিকারের চিঠি অনুযায়ী, দর্শক গ্যালারি থেকে সভায় ঝাঁপিয়ে পড়ার শেষ
ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৪ সালের অগস্টে। কাণ্ডটা ঘটিয়েছিলেন মোহন পাঠক নামে এক ব্যক্তি, তাঁর হয়েও সুপারিশ চিঠিতে সই করেছিলেন এক বিজেপি সাংসদ, নৈনিতালের বলরাজ পাসী। মণিপুরের সাংসদ এম কামসনের সুপারিশে ঢোকা এক দর্শকও অনুরূপ কাজ করেছিলেন সে বছরই। সংসদের রেকর্ড আরও বলছে, ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে পরপর দু’দিন একজন করে ব্যক্তি দর্শক গ্যালারি থেকে লোকসভায় নেমে পড়েছিলেন। দু’দিনই ওই হাঙ্গামাকারীদের গ্যালারিতে ঢোকার সুপারিশ চিঠিতে সই করেছিলেন সিপিএমের প্রয়াত সাংসদ সৈফুদ্দিন চৌধুরী। স্বাধীন ভারতে ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে ন’বার সংসদের দর্শক গ্যালারি থেকে স্লোগান দেওয়া, পুস্তিকা ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও গ্যালারি থেকে লোকসভায় ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনা সে বারই প্রথম।
সংসদের বিশিষ্ট অতিথিদের গ্যালারি থেকে প্রাক্তন সাংসদ স্লোগান দিচ্ছেন, এমনও ঘটেছে। ১৯৯৮ সালে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন আরজেডি-র প্রাক্তন সাংসদ লাভলি আনন্দ। তবে স্পিকারের চিঠি অনুযায়ী, সব থেকে বিপজ্জনক কাণ্ড ঘটেছিল ১৯৭৪-এ। রতনচন্দ্র গুপ্ত নামের এক ব্যক্তি দু’টি পিস্তল নিয়ে দর্শক গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছিলেন। সংসদ তাঁকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল। সে বার রতনচন্দ্রের হয়ে সুপারিশ লিখেছিলেন জনতা দলের সাংসদ হরি কিশোর সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy