Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sanatan Dharma Controversey

সংসদের বিতর্কেও বিজ্ঞান বনাম ধর্ম

সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত মাস থেকে ডিএমকে নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘাতে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

representational image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৯
Share: Save:

সনাতন বিতর্কের রেশ এ বার লোকসভাতেও। আজ লোকসভায় চন্দ্রযান-তিনের সাফল্যকে কেন্দ্র করে আলোচনায় সনাতন ধর্ম সংক্রান্ত বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন শাসক-বিরোধী নেতারা।

সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত মাস থেকে ডিএমকে নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘাতে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধির পরে সেই বিতর্কে ইন্ধন জোগান ডিএমকে সাংসদ এ রাজা। আজও তাঁর বিরুদ্ধে লোকসভার বিতর্কে সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি।

বিতর্কে বলতে গিয়ে আজ দেশীয় বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে রাজা বলেন, ‘‘চন্দ্রযানকে সঠিক কক্ষপথে পাঠিয়ে পৌরাণিক ভ্রমকে কাটানো গিয়েছে। চন্দ্রযানের সাফল্য উদ্‌যাপন করতে গিয়ে তাতে যেন অবৈজ্ঞানিক রং না চড়ানো হয়। আমেরিকা-রাশিয়া কেউ তা করেনি।’’ বরং চন্দ্রযান অভিযান প্রয়াত বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে করার দাবি তোলেন তিনি।

অবৈজ্ঞানিক রং কী, তা আজ রাজা স্পষ্ট না করলেও, সূত্রের মতে, চন্দ্রযান চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে অংশে নেমেছিল, সেটির শিবশক্তি নামকরণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই নামকরণ করে বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মকে যাতে গুলিয়ে না ফেলা হয়, সম্ভবত সেই বিষয়টিই নিজের বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন রাজা।

রাজার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর দাবি, ডিএমকে সাংসদের এ ধরনের বক্তব্যে যাঁরা সনাতম ধর্ম মেনে চলেন, তাঁরা অপমানিত বোধ করছেন। হিন্দুদের এ ভাবে অপমান করার কোনও অধিকার রাজার নেই।

অনেকের মতে, চন্দ্রযানের সাফল্য উপলক্ষ মাত্র। ২০২৪ সালের লোকসভার আগে বিজেপি পুরাণ ও লোকগাথাকে ইতিহাস হিসাবে সামনে এনে নতুন ভাষ্য তৈরি করতে চাইছে। যে ছবি ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে নতুন সংসদ ভবনের সংবিধান হলে। যেখানে রামায়ণ-মহাভারতকে ইতিহাস হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে বলা হয়েছে, রামায়ণ-মহাভারত হল মহাকাব্য, যা আমাদের ‘ইতিহাস বা হিস্ট্রি’ বলে থাকে। গত কয়েক বছর ধরেই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি থেকে প্রশাসন চালানো, সবেতেই সনাতন ভারতের সিলমোহর বসানোর পরিকল্পিত উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের মন্তব্য, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে বৈদিক যুগের পরে ২০১৪
সাল থেকে বিজ্ঞান গবেষণা শুরু হয়েছে এ দেশে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

New Parliament Building BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy