বিজেন্দ্র সিংহ। —ফাইল চিত্র।
তিনি জিতে এলে বিশ্বের সেরা মুষ্টিযোদ্ধারা নিয়মিত লড়তে আসবেন দিল্লিতে। সত্যিকারের স্বচ্ছ ভারত কাকে বলে, সেটাও দেখিয়ে ছাড়বেন তিনি। এলাকার সমস্ত মহিলা ক্লিনিকে যাতে অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে, নিশ্চিত করবেন তা-ও।
বক্সিং রিং থেকে বেরিয়ে জীবনে প্রথম বার ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে এসে এমনই সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বিজেন্দ্র সিংহ। কখনও দিল্লির রাস্তা থেকে নিজের গাড়িতে বসে ফেসবুক লাইভ করছেন। কখনও গলি বা পার্কের ধারে স্তূপীকৃত জঞ্জাল সাফাইয়ে হাত লাগাচ্ছেন কংগ্রেসের এই লোকসভা প্রার্থী। সেই সঙ্গে এ কথাও জানাতে ভুলছেন না— ‘‘আমি রাজনীতিতে এসেছি মানে এই নয় যে, বক্সিং ছেড়ে দেব! মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য ভোটে লড়ছি। তার পরেও অনেক সময় থাকবে বক্সিং চর্চার। দেখুন না, জিতে এলে এখানে বিশ্বের সেরা বক্সারদের নিয়ে আসব।’’
হরিয়ানায় পুলিশ বিভাগের চাকরি ছেড়ে দিল্লিতে এসেছেন ভোটে লড়তে। সে রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার ঘনিষ্ঠ বিজেন্দ্র প্রথমে চেয়েছিলেন হরিয়ানা থেকেই লড়তে। কংগ্রেসও ভেবেছিল কুস্তিগির সুশীল কুমারকে দক্ষিণ দিল্লি থেকে টিকিট দিতে। এখানকার জাঠ ভোটের কথা ভেবেই প্রাথমিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর। কিন্তু পরে হুডার কথাতেই দক্ষিণ দিল্লিতে বেছে নেওয়া হয় বিজেন্দ্রকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রবল শারীরিক প্রশিক্ষণের অভ্যাস রয়েছে, তাই প্রচারে উদ্যমের কোনও ঘাটতি নেই বিজেন্দ্রর। এই নির্বাচনী ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বর্তমান সাংসদ রমেশ বিধুরি এবং আম আদমি পার্টির হেভিওয়েট নেতা রাঘব চাড্ডা। ফেসবুক লাইভে বলছেন বিজেন্দ্র, ‘‘আপ কেবল নিজেদের বিজ্ঞাপনেই ব্যস্ত থেকেছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খুবই খারাপ এখানে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্লিনিকগুলির যা দুরবস্থা, তা প্রচারের সময়ে আমাদের এক কর্মী অসুস্থ হওয়ার পরে হাতেনাতে টের পেয়েছি।’’ রাস্তায় জমা জঞ্জাল দেখিয়েও বিজেন্দ্র বলেছেন, ‘‘এই তো দেখুন স্বচ্ছ ভারত অভিযানের হাল! খোদ রাজধানীতেই যদি এই অবস্থা হয়, গোটা দেশের কী দশা!’’
এটা ঘটনা যে, হরিয়ানার এই বক্সার দিল্লিতে ‘অতিথি’। কিন্তু তাতে না-দমে জানাচ্ছেন, ‘‘আমি তো কানাডা থেকে আসিনি! এক জন ক্রীড়াবিদের বাড়ি গোটা দেশই। যখন রিংয়ে নামি, তখন দেশের জন্য নামি। আর এই ভোটটাও তো দেশ গড়ারই ভোট।’’ গত বারের লোকসভা ভোটে বিজেপির রমেশ বিধুরি এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন আপ-এর প্রার্থীকে। বিষয়টিকে আদৌ গুরুত্ব না দিয়ে বক্সার বলছেন, ‘‘আগের হিসেব ভুলে যান। দেশ এখন পরিবর্তন চাইছে। আর এই পরিবর্তন আনবে যুব শক্তি। আমাদের মতো ‘যুবা’-রা। সে জন্যই তো রাজনীতিতে আসা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy