—ফাইল চিত্র।
দেশে কর্মসংস্থানের হিসেব নিয়ে ভোটের মুখে ফের মুখ পুড়ল মোদী সরকারের। মঙ্গলবার তথ্যপ্রদানকারী সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই) রিপোর্ট জানাল, দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে আগের মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে ছুঁয়ে ফেলেছে ৭.২%। যা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পরে সব থেকে বেশি। আর তার পরেই ফের বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যিনি গত লোকসভা ভোটের আগে বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির মসনদে বসেছিলেন।
কংগ্রেসের কটাক্ষ, ‘‘মোদী কথা দিয়েছিলেন পাঁচ বছরে ১০ কোটি কর্মসংস্থানের। অথচ কয়েক লক্ষ চাকরির ব্যবস্থাও করে উঠতে পারেননি। যা দুঃখজনক।’’ তাদের অভিযোগ, সিএমআইই-র এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, কাজের বাজারের ছবিটা আরও খারাপ হচ্ছে। আর তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনের তোপ, এই কারণেই আলোচনার মোড় সব সময় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চান মোদী।
কিছু দিন আগে এই কর্মসংস্থান নিয়েই ২০১৭-১৮ সালের জন্য ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে দফতরের সমীক্ষা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সেই রিপোর্টেও বলা হয় নোট বাতিলের পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৭-’১৮ সালে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশে পৌঁছেছিল। যা ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। কেন্দ্র এই হিসেব চেপে রাখার চেষ্টা করলেও তা ফাঁস হয়ে যায়।
মোদী থেকে শুরু করে তাঁর সেনাপতিরা অবশ্য বারবারই দাবি করছেন, দেশে কত লোক চাকরি পাচ্ছেন, তা মাপার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। তাই কর্মসংস্থান হলেও তার সঠিক হিসেব জানা যাচ্ছে না। তার উপরে এ দিনই বাণিজ্যে ভারতের বিশেষ সুবিধা ফিরিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রফতানিকারীরা বলছেন, এতেও ধাক্কা খাবে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া কৃষিপণ্য, সামুদ্রিক পণ্য, হস্তশিল্প ইত্যাদি। বহু কর্মীর রুটি-রুজি জড়িয়ে যেগুলির সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ভোটের মুখে এ দিন ঘরে-বাইরে, দু’ক্ষেত্রেই বেজায় চাপে মোদী সরকার। এর পাল্টা চাল কী হয়, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy