Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

বিরোধীদের দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, গোনা হবে দুই শতাংশ ভিভিপ্যাটই

ফলে, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা কেন্দ্র-পিছু ওই জোড় বাঁধার পরীক্ষানিরীক্ষা পাঁচটি বুথেই সীমাবদ্ধ থাকল।

ছবি- পিটিআই।

ছবি- পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৯ ১২:৫১
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্ট ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের জোড় পরীক্ষানিরীক্ষার পরিমাণ আর বাড়াতে রাজি হল না। ফলে, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা কেন্দ্র-পিছু ওই জোড় পরীক্ষানিরীক্ষা পাঁচটি বুথেই সীমাবদ্ধ থাকল। যা মোট বুথের ২ শতাংশ। শীর্ষ আদালতের আগের রায় খতিয়ে দেখে ওই পরিমাণ বাড়িয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ করার যে আর্জি জানানো হয়েছিল ২১টি বিরোধী দলের তরফে, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তা মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে। ওই পরীক্ষানিরীক্ষার উদ্দেশ্য, ইভিএমে যে ভোট পড়ছে, তা সঠিক ভাবে ভোটদাতার নামেই পড়ছে কি না, ভিভিপ্যাটের স্লিপের মাধ্যমে তা যাচাই করে নেওয়া।

বহু দিন ধরেই এই আর্জি জানিয়ে আসছেন বিরোধীরা। তাতে যে শীর্ষ আদালত বিব্রত, এ দিন প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের মন্তব্যেই তা স্পষ্ট। ২১টি বিরোধী দলের ওই আর্জির শুনানিতে বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নাকে নিয়ে গড়া তিন সদস্যের বেঞ্চে এ দিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘‘আমরা আর আমাদের রায় খতিয়ে দেখতে চাই না। এই একই আর্জি আর কত দিন ধরে আমাদের শুনতে হবে? তাই এই শুনানি চালিয়ে যাওয়াটা অর্থহীন।’’

শুনানির শুরুতে এ দিন আবেদনকারীদের তরফে সিনিয়র অ্যাডভোকেট, কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘আদালত ইতিমধ্যেই সেই পরিমাণ বাড়িয়েছে। প্রতিটি লোকসভা আসনের মধ্যে থাকা বিধানসভা কেন্দ্র-পিছু পাঁচটি করে বুথে এখন যে কোনও ইভিএমের সঙ্গে যে কোনও ভিভিপ্যাট যন্ত্রের জোড় পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সেটা বাড়িয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ হলেই ভাল হয়। ভোটারদের আস্থা বাড়ানোর জন্যই এর প্রয়োজন।’’

আরও পড়ুন- প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন, বলল সুপ্রিম কোর্ট​

আরও পড়ুন- লোকসভায় ভিভিপ্যাট সব ইভিএমে​

গত ৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে প্রতিটি লোকসভা আসনের মধ্যে থাকা বিধানসভা কেন্দ্র-পিছু পাঁচটি করে বুথে এখন যে কোনও ইভিএমের সঙ্গে যে কোনও ভিভিপ্যাট যন্ত্রের জোড় পরীক্ষানিরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল। ২১টি বিরোধী দলের তরফে সেই রায় খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।

পরে সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের আর্জি গ্রাহ্য হল না আদালতে। অথচ ইভিএম আর ভিভিপ্যাট যন্ত্রগুলি হঠাৎ বিগড়ে গেলে কী করণীয়, সে ব্যাপারে কোনও গাইডলাইন পাওয়া গেল না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE