প্রকাশ জাভড়েকর। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব কমবে না বলে আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের রায় যাতে কার্যকর না-হয় তার জন্য খুব দ্রুত অধ্যাদেশ আনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
এমনিতেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে দলিতদের। এ বার পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোট খোয়ানোর ভয়ে আজ বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে উদ্যোগী হন জাভড়েকর। তিনি বলেন, ‘‘সরকার অতীতের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সরংক্ষণের পক্ষপাতী। এ বিষয়ে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
মন্ত্রক সূত্রের খবর, জটিলতা কাটাতে অধ্যাদেশ আনার কথা ভেবেছে সরকার। আইনগত দিকগুলি খতিয়ে দেখে ওই অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১৩ দফা ‘রোস্টার নীতি’ হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। ওই নীতিতে বলা হয়, আগামী দিনে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নয়, প্রতিটি বিষয়ের বিভাগকে একটি ইউনিট হিসেবে ধরে প্রতি ৪টি খালি পদের ১টি ওবিসি শ্রেণির, প্রতি ৭টি খালি পদের ১টি তফসিলি জাতির এবং প্রতি ১৪টি খালি পদের একটি তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর ফলে অতীতের প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সংরক্ষণের নিয়ম বাতিল হয়ে যায়।
ওই নীতি সামনে আসতেই সরব হয় একাধিক পিছিয়ে পড়া সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলি। দলিত সংগঠনগুলির আশঙ্কা, এর ফলে যে বিভাগের আকার ছোট, কম সংখ্যায় শিক্ষক রয়েছেন সেই বিভাগগুলি আর সংরক্ষণের কোনও সুবিধা পাবে না। ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। বিষয়টি নিয়ে সরব হন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও। সব স্তরে বিরোধ আসছে দেখে বিষয়টি পুর্নবিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। কিন্তু গত সপ্তাহে সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে ফের সরব হন বিরোধী-সহ একাধিক শিক্ষক সংগঠন। আজ তফসিলি জনজাতিদের ডাকা বন্ধে সরকারের কাছে আগের আইন পুনর্বহাল করার জন্য অধ্যাদেশ আনার দাবি ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy