ছবি: এপি।
ভোটের প্রচারে গিয়ে পুলওয়ামা-বালাকোট প্রসঙ্গ টানা যাবে না বলে আগেই সর্তক করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নরেন্দ্র মোদী তবু নাছোড়বান্দাই। দলের হয়ে ভোট চাইতে গিয়ে আজ ফের সেনা টানলেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চের সামনে ভিড় লক্ষ্য করে বললেন, ‘‘পদ্মফুলে ভোট দিলেই দেখবেন, আপনার ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা ফৌজি জেগে উঠেছে। যে কিনা দেশের জন্য হাসতে হাসতে প্রাণও দিতে পারে।’’
জনসভাটি ছিল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলায়। ২০১৪-য় ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম এখানে এলেন মোদী। কিন্তু এক বারও রামমন্দিরের প্রসঙ্গ তুললেন না। শুধু বক্তৃতার শেষটা করলেন, ‘জয় শ্রীরাম, জয় জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বা রাজনৈতিক মহলে তেমন গুঞ্জন না-হলেও, অযোধ্যা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অম্বেডকরনগর লোকসভা আসনের এই সভায় মোদী যে ভাবে কথায়-কথায় সেনা টানলেন, তা নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করতে গিয়ে মোদী আজ ফের বললেন, ‘‘ঘর মে ঘুস কর মারেঙ্গে।’’ সুর চড়ালেন— ‘‘সীমান্তের ও-পারে হোক বা এ-পারে, বিপদ দেখলে নতুন ভারত গুলিতেই জবাব দেবে। আপনাদের একটা ভোটই সন্ত্রাস শেষ করবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তাঁর দাবি, একমাত্র দেশ সুরক্ষিত হলেই স্বপ্নপূরণ হবে দেশবাসীর। এবং কংগ্রেসের আমলে সন্ত্রাসদমনে কিছুই করা হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এবং এর পরেই মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেস, এসপি, বিএসপি সবাই একটা সময়ে সন্ত্রাস নিয়ে যে ভাবে নরম মনোভাব দেখিয়েছে, তারই ফল ভুগতে হয়েছে আমাদের। আমাদের সেনা জঙ্গিদের ধরছে, আর ওরা ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বরাবর ওদের রেহাই দিয়েছে।’’ এসপি এবং বিএসপি-কে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দেশের সুরক্ষা নয়, ওদের প্রাধান্য শুধু যে ভাবে হোক ক্ষমতা দখল।’’
এ দিন মোদীর সভা ছিল মধ্যপ্রদেশেও। সেখানে অবশ্য তিনি আগাগোড়া নিশানা করেন কংগ্রেসকেই। বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমাকে এতটাই ঘৃণা করে যে, স্বপ্ন দেখছে মোদীকে খুন করার। কিন্তু ওরা ভুলে যাচ্ছে যে মধ্যপ্রদেশ-সহ গোটা দেশ এখন আমার হয়েই ব্যাট করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy