হার্দিক পটেল। —ফাইল চিত্র।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য হাতে মাত্র দু’দিন। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা পতিদার আনামত আন্দোলনের নেতা তথা সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হার্দিক পটেলের। দাঙ্গা মামলায় শাস্তির স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে চটজলদি শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চটজলদি শুনানি সম্ভব নয় বলে মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি অরুণ মিশ্র নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে হার্দিকের আবেদন গিয়ে ওঠে। সেখানে বিচারপতি এমএম সান্ত্বনাগৌড়া ও নবীন সিনহা হার্দিকের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘গতবছর অগস্টে হাইকোর্টের রায় বেরোয়। তা সত্ত্বেও এতদিন যখন ফেলে রেখেছিলেন, তা হলে এখন তাড়াহুড়ো কেন?’’
আদালত চটজলদি শুনানিতে রাজি না হওয়ায় বিপদে পড়েছেন হার্দিক পটেল। কংগ্রেসের টিকিটে গুজরাতের জামনগর থেকে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আগামী ২৩ এপ্রিল ভোট গুজরাতে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৪ এপ্রিল। তার মধ্যে আদালত তাঁর শাস্তিতে স্থগিতাদেশ না দিলে ভোটে লড়তে পারবেন না হার্দিক।
আরও পড়ুন: ২২ লক্ষ শূন্যপদে চাকরি, গরিবদের অ্যাকাউন্টে বছরে ৭২ হাজার, ইস্তাহার প্রকাশ কংগ্রেসের
আরও পড়ুন: ভারতের এ-স্যাট পরীক্ষা ‘ভয়ঙ্কর’ বলল নাসা! আশঙ্কা, টুকরোর আঘাত লাগতে পারে মহাকাশ স্টেশনে
২০১৫-য় পতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনে হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগ। বছর চারেক আগের ওই মামলায় গতবছর জুলাই মাসে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন হার্দিক। দু’বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। গত বছর অগস্টেই জামিন পেয়ে যান তিনি। সেই সময় তাঁর কারাদণ্ড কার্যকর হওয়া স্থগিত রেখেছিল গুজরাত হাইকোর্ট। কিন্তু তাঁকে বেকসুর ঘোষণা করা হয়নি। এ দিকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং সেই সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত কেউ ভোটে লড়তে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে ৮ মার্চ ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে ফের খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান হার্দিক।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy