Advertisement
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

চৌকিদার থেকে চা-ওয়ালা, জোর উন্নয়নেই

অরুণাচলের আলোয় মোদী বলেন, ‘‘এই অরুণাচল প্রদেশই উত্তর-পূর্বের প্রথম বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু ৫৫ বছরের ক্ষমতাশালী কংগ্রেস যে লুন্ঠন চালিয়েছে, পাঁচ বছরে তা সারিয়ে তোলা যায় না।’’

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০২:০৯
Share: Save:

কখনও তিনি চৌকিদার, কখনও চা-ওয়ালা। নামদার পরিবার নয়, দমদার সরকারকে বেছে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামকে মিলিয়ে দিচ্ছেন পুলওয়ামা-বালাকোটের সঙ্গে। অরুণাচলে শুভেচ্ছা দিচ্ছেন মপিন উৎসবের, অসমে বিহুর। আলো, মরাণ ও গোহপুরে বিজেপির তিনটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়ে মোদীর মত, জনসমর্থন দেখিয়ে দিচ্ছে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।

অরুণাচলের আলোয় মোদী বলেন, ‘‘এই অরুণাচল প্রদেশই উত্তর-পূর্বের প্রথম বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু ৫৫ বছরের ক্ষমতাশালী কংগ্রেস যে লুন্ঠন চালিয়েছে, পাঁচ বছরে তা সারিয়ে তোলা যায় না।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বিজেপি আমলেই অরুণাচল রেল ও বিমান মানচিত্রে ঢুকেছে।

অসমের মরাণ ও গোহপুর, দুই কেন্দ্রেই চা-শ্রমিকের সংখ্যা প্রচুর। পাশাপাশি, মটক-মরাণ ও চা শ্রমিকরা ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত হওয়ার জন্য সংগ্রাম চালাচ্ছেন কয়েক দশক ধরে। মোদী দুই জায়গাতেই চা-শ্রমিকদের জন্য নেওয়া বিজেপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বিনামূল্যে চাল ও চিনি দেওয়া, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “কংগ্রেস এক চা-ওয়ালার বিরোধিতা করতে করতে অসম ও বাংলায় সব চা-ওয়ালাদের সঙ্গে শত্রুতা করতে শুরু করেছে। চা শ্রমিকদের প্রাপ্য তারা দেয়নি। এক চা-ওয়ালার দুঃখ আমার মতো চা-ওয়ালাই বুঝতে পারে।” তিনি জানান, এত বছরেও কংগ্রেস অসম চুক্তি রূপায়ণ ও অসমের ছয় জনজাতিকে তফসিলভুক্ত করেনি। কিন্তু বিজেপি পাঁচ বছরে সেই কাজ করে দেখাচ্ছে। অসম চুক্তি অনুযায়ী অসমবাসীর অধিকার সুরক্ষিত করা হবে। মটক-মরাক, চা-শ্রমিকদের তফসিলভুক্ত করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। একই সঙ্গে বলেন, বর্তমান তফসিলভুক্ত জনজাতিদের অধিকারও খর্ব হবে না।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অসমের সরাইঘাট যুদ্ধের বীর-নায়ক লাচিত বরফুকনের বিখ্যাত উক্তি ‘দেশের থেকে মামা বড় নয়’—উদ্ধৃত করে মোদী কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনা করে বলেন, “ওদের কাছে সব সময়েই ‘মিশেল মামা’, ‘কত্রোচি মামা’দের গুরুত্ব দেশের চেয়ে বেশি। যখন পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ায় দেশ গর্ব করে, তখন একমাত্র কংগ্রেসই জঙ্গিদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বিরোধিতা করে। বিজ্ঞানী, বিমানচালকরা দেশকে যখন গর্বিত করেন এই দল তাঁদের নিয়ে মজা করে, সন্দেহ করে।” গোহপুরে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে কনকলতা, মুকুন্দ কাকতির থানা দখলের চেষ্টা করে গুলি খাওয়ার প্রসঙ্গ টানেন মোদী। সেখান থেকেই চলে যান পুলওয়ামা ও পাকিস্তান প্রসঙ্গে। বলেন, “আমরা আর দুর্বল নই। আপনাদের আশীর্বাদে শত্রুদের ঘরে ঢুকে মারার শক্তি পেয়েছি। ভিড় দেখে বুঝতে পারছি মা কামাখ্যার আশীর্বাদ এবারেও পেয়ে গিয়েছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

লোকসভা ভোট ২০১৯ Lok Sabha Election 2019 Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy