ছবি: পিটিআই।
রাহুল গাঁধী কেরলের ওয়েনাডে প্রার্থী হওয়ায় বামেরা ক্ষুব্ধ হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, কংগ্রেস কি একলা চলতে চাইছে? আজ সেই ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করার চেষ্টা করলেন রাহুল নিজেই। কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের মঞ্চ থেকেই বামেদের উদ্দেশে রাহুলের যুক্তি, ‘‘আমার কাছে দাবি করা হয়েছিল, আমি যেন দক্ষিণ ভারতের একটি আসন থেকেও প্রার্থী হই। কারণ দক্ষিণ ভারতীয়দের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, কেন্দ্রের বর্তমান সরকার তাদের সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছে না। মোদীজি এই ক্ষোভ তৈরি করে দিয়েছেন। আমি তাই দক্ষিণ ভারতকে বার্তা দিলাম, আমি তাদের সঙ্গে রয়েছি, পাশে রয়েছি।’’
বৃহস্পতিবার কেরলে মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে যাবেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও। কিন্তু রাহুল কেরলে প্রার্থী হওয়ায় সিপিএম নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছেন, রাহুল কী বার্তা দিতে চাইছেন? তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চান, না বামেদের বিরুদ্ধে? প্রকাশ কারাট রাহুলকে হারাতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর ডাক দিয়েছিলেন। সীতারাম ইয়েচুরির যুক্তি ছিল, কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে।
আজ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘কেরলের ২০টি আসনে কংগ্রেস জোট তো বামেদের বিরুদ্ধে এমনিতেই প্রার্থী দিত। রাহুল সেই ২০ জন প্রার্থীর মধ্যেই এক জন। তা হলে সমস্যা কোথায়?’’ তাঁর যুক্তি, তামিলনাড়ু ও কর্নাটকের আসনেও রাহুলকে প্রার্থী করার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু ওয়েনাড আসনের সাংসদ মারা যাওয়ায় ওই আসনটি ফাঁকা ছিল। সেখানে প্রার্থী হওয়ার অন্য কোনও দাবিদারও নেই। তাই রাহুল সেখানেই প্রার্থী হয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জোট শরিকদের বাদ দিয়ে কংগ্রেস একা এগোচ্ছে বলেও মানতে রাজি নন রাহুল। তাঁর যুক্তি, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতে তো জোট হয়েছে। চিদম্বরমের প্রশ্ন, যেখানে আসন সমঝোতা হয়নি, সেখানে কংগ্রেসের সামনে প্রার্থী দিয়ে জয়ের চেষ্টা করা ছাড়া আর উপায় কী!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy