জে মোহনরাজ
হাতে নগদ আছে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা। ঋণ (বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে) ৪ লক্ষ কোটি টাকা। এই নির্বাচনী হলফনামা সত্যি হলে তামিলনাড়ুর পেরাম্বুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন লড়তে চলা জে মোহনরাজই দেশের ধনীতম প্রার্থী।
জেবমণি জনতা পার্টির এই নেতা নিজেই অবশ্য জানাচ্ছেন, অঙ্কগুলো ঠিক নয়। প্রথমটা আসলে টুজি কেলেঙ্কারির অঙ্ক, দ্বিতীয়টা তামিলনাড়ু সরকারের বকেয়া ঋণের। এ তাঁর প্রতীকী প্রতিবাদ। স্বাধীনতা সংগ্রামী জেবমণির পুত্র, স্বেচ্ছাবসর নেওয়া পুলিশ অফিসার মোহনরাজের ক্ষোভ, ভুল হলফনামা দিলেও নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেয় না। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে চেন্নাই দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর সময়ে তিনি নিজেই ১৯৭৭ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা আছে বলে অসত্য হলফনামা দিয়েছিলেন।
এ বারের হলফনামাটি রয়েছে কমিশনের ওয়েবসাইটেই। মোহনরাজ বলছেন, ‘‘টুজি কেলেঙ্কারির তদন্ত ঠিক মতো হয়নি। তামিলনাড়ু সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্যই রাজ্যের ঘাড়ে এই বিরাট ঋণ। সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’’ গত বাজেটে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, ২০২০-র মার্চে বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩.৯৭ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
মোহনরাজের দাবি, কেউ মিথ্যে হলফনামা দিলে ফৌজদারি মামলা হোক। বস্তুত, ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিলের আগে তা-ই ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভুয়ো হলফনামার ক্ষেত্রে দেওয়ানি মামলা হওয়ার ব্যাপারটা আনাই হল এক প্রভাবশালীকে বাঁচাতে। অনেক তথ্য লুকিয়েছিলেন তিনি।’’ লুকিয়েছেন মোহনরাজও। তাঁর যে একটা বাড়ি আছে, তা উল্লেখ করেননি হলফনামায়। বলছেন, ‘‘যা করেছি, তা দেশের ভালর জন্যই।’’
তা হলে বাস্তবে তাঁর সম্পত্তি কত? মোহনরাজ জানাচ্ছেন, হাতে নগদ আছে ২০ হাজার টাকা। গয়না বন্ধক রেখে ঋণ আড়াই লক্ষের মতো। সেই গয়না নিলাম হয়ে গিয়েছে। চেষ্টা সত্ত্বেও এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy