বক্তৃতা করার ফাঁকেই। ছবি: সংগৃহীত।
গুজরাতের সুরেন্দ্রনগরে প্রকাশ্য জনসভায় কংগ্রেস নেতা হার্দিক পটেলকে থাপ্পড় মারলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। ঘটনার সময় বক্তৃতা করছিলেন সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পাটিদার আন্দোলনের এই নেতা। বিজেপির মদতেই এই হামলা চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন হার্দিক।
ঘটনার সময় গুজরাতের সুরেন্দ্রনগরে কংগ্রেস আয়োজিত জন আক্রোশ সভায় বক্তৃতা করছিলেন হার্দিক পটেল। সেই সময় এক ব্যক্তি পিছন থেকে স্টেজে উঠে তার পাশে চলে যান। এর পরই সজোরে হার্দিককে থাপ্পড় মারেন এই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
পুরো ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন হার্দিক। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এই হামলার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে, তা অত্যন্ত স্পষ্ট। না হলে আমার মতের সঙ্গে অমিল হলে তিনি আলোচনায় বসতে চাইতেন বা কালো পতাকা দেখাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে আমাকে আক্রমণ করা হল, এটাই বিজেপির উদ্দেশ্য।’’
#WATCH Congress leader Hardik Patel slapped during a rally in Surendranagar,Gujarat pic.twitter.com/VqhJVJ7Xc4
— ANI (@ANI) April 19, 2019
আরও পড়ুন: বিএসপির বদলে বিজেপিতে ভোট! ভুলের শাস্তি দিতে নিজেই কেটে ফেললেন আঙুল
একই সঙ্গে হার্দিক জানিয়েছেন, তাঁকে মারধর করে বিজেপি বিরোধিতার রাস্তা থেকে সরানো যাবে না। ঘটনায় পর স্থানীয় মানুষদের কাছে হামলাকারীকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদনও করেছেন তিনি, সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন হার্দিক।
২০১৫ সালে গুজরাতে পাটিদার আন্দোলনের সময় হার্দিক পটেলের অন্যতম সঙ্গী দীনেশ বম্ভানিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘যত দিন হার্দিক পাটিদারদের নেতা ছিলেন, তত দিন ওঁকে কেউ স্পর্শ করার সাহস করত না। কিন্তু হার্দিক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ওঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পাটিদার সম্প্রদায়ের মানুষ। পাটিদাররা এখন মনে করে, নিজের রাজনৈতিক সুবিধার জন্যই এই আন্দোলন করেছিল হার্দিক। সেই ক্ষোভ থেকেও এই হামলা হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: কচ্ছের রানে যেন গণতন্ত্রের লবণ অভিযান
গত কালও বিক্ষোভের আঁচ টের পেয়েছিলেন হার্দিক। গুজরাতের মাহিসাগর জেলায় হার্দিকের হেলিকপ্টার নিজের জমিতে নামতে দেননি এক কৃষক। সেই কৃষকেরও অভিযোগ ছিল, পাটিদার আন্দোলনের শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান মজবুত করেছেন হার্দিক। বাধ্য হয়ে গতকাল আমদাবাদ থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ গাড়িতে যেতে হয় হার্দিককে।
২০১৫ সালে পাটিদার সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য সংরক্ষণ চেয়ে গুজরাত স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন ২৫ বছরের এই তরুণ নেতা। যদিও গত মাসে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এই সম্প্রদায়ের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy