গৌতম গম্ভীর ও বিজেন্দ্র সিংহ। ফাইল চিত্র।
বিস্তর জলঘোলা হল। কিন্তু অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হল না শেষ পর্যন্ত। দিল্লির সাতটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল রাহুল গাঁধীর দল। আগামিকালই দিল্লিতে মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। তার আগে আজ শীলা দীক্ষিত, অজয় মাকেন, জে পি আগরওয়ালের মতো ওজনদার নেতাদের প্রার্থী করলেন রাহুল। আপের পশ্চিম দিল্লির প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গত বৃহস্পতিবারই। আজ বাকি ছয় আসনেও আপ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যার ফলে দিল্লিতে লড়াই এখন ত্রিমুখী। এতে লাভের আশা বেড়েছে বিজেপিতে।
শেষ মুহূর্তে দিল্লির ভোট যুদ্ধে নতুন মাত্রা বলতে দুই খেলোয়াড়ের প্রবেশ। প্রথম জন একমাত্র ভারতীয়, যিনি বাইশ গজে পরপর পাঁচ বার সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, পরপর চারটে টেস্ট সিরিজে ৩০০-র বেশি রান করেছেন বাঁ হাতে ব্যাট চালিয়ে। পূর্ব দিল্লির পিচে বিজেপি নামিয়েছে গৌতম গম্ভীরকে। অন্য জন লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন বক্সিংয়ের রিং থেকে। বক্সিংয়ে দেশের প্রথম অলিম্পিক পদক (ব্রোঞ্জ) জয়ী পেশাদার সুপার-মিডলওয়েট বক্সার বিজেন্দ্র সিংহকে দক্ষিণ দিল্লির রিংয়ে পাঠাচ্ছে কংগ্রেস।
গত কালই দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। আজ দিল্লিতে রোড-শো করে মনোনয়ন পেশ করেছেন তাঁরা। উত্তর পশ্চিম দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি ও দক্ষিণ দিল্লিতে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।
আপ-কংগ্রেস সমঝোতা না হওয়ায় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের লড়াই হবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি ও আপের দিলীপ পাণ্ডের সঙ্গে। চাঁদনি চক কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের জে পি আগরওয়ালের লড়াই বিজেপির হর্ষবর্ধন ও আপের পঙ্কজ গুপ্তর সঙ্গে। নয়াদিল্লি আসনে কংগ্রেসের অজয় মাকেনের লড়াই বিজেপির মীনাক্ষী লেখি ও আপের ব্রজেশ গয়ালের বিরুদ্ধে। পূর্ব দিল্লিতে কংগ্রেসের অরবিন্দ্র সিংহ লাভলি লড়বেন বিজেপির গম্ভীর ও আপের অতিশীর সঙ্গে। ৩৭ বছর বয়সি অতিশী এই প্রথম লোকসভার যুদ্ধে। উত্তর পশ্চিম দিল্লিতে রাজেশ লিলোঠিয়ার বিরুদ্ধে আপের প্রার্থী গগন সিংহ। পশ্চিম দিল্লিতে কংগ্রেসে মহাবল মিশ্রের বিরুদ্ধে লড়াই আপের বলবীপ সিংহ জাখরের। দক্ষিণ দিল্লিতে আপের প্রার্থী রাঘব চড্ঢা। তাঁর প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের বক্সার বিজেন্দ্র।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কংগ্রেসের একটি অংশ মনে করে, আপের সঙ্গে জোট না-হওয়ায় ফায়দা হবে বিজেপিরই। কংগ্রেসের এই অংশ মনে করে, এখনও সময় আছে আপের সঙ্গে রফার। কারণ, প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকে। ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সে দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে কংগ্রেসের এই অংশ।
শীলারা গোড়া থেকেই জোটের ঘোর বিরোধী ছিলেন। দলের সিদ্ধান্তে তিনি খুশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy