লোকসভায় বিজেপির দুই প্রার্থী ভারতী ঘোষ, এবং সৌমিত্র খাঁ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ বার খোদ বিজেপিই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করল। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য সরকার দলের শীর্ষ নেতাদের জনসভায় অনুমতি দিচ্ছে না। বাধা তৈরি করছে। এই অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছে বিজেপি।
এক সঙ্গে তিনটি মামলায় রাজ্য বনাম বিজেপির দ্বৈরথ দেখে আইনজীবীদের বক্তব্য, তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই এখন সুপ্রিম কোর্টে উঠে এসেছে।
এর আগে রথযাত্রার অনুমতি না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট রথযাত্রার অনুমতি না দিলেও সে সময় বলেছিল, বিজেপি জনসভার অনুমতি চাইলে দিতে হবে। রাজ্য সরকার তখন জানায়, জনসভায় তাদের আপত্তি নেই। তবে সময় মতো সভার স্থান-কাল ও বক্তাদের নাম জানাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, বিজেপি সময় মতো সব তথ্য দিলে রাজ্য জনসভার অনুমতি দেবে।
বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ তুলেছে, যোগী আদিত্যনাথ, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহের জনসভার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নানা রকম বাধা তৈরি করেছে। কোথাও হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কোনও ক্ষেত্রে যেখানে জনসভা করতে চাওয়া হয়েছে, সেখানে অনুমতি মেলেনি। বিজেপির আইনজীবী কবীরশঙ্কর বসু বলেন, রাজ্য প্রশাসন শীর্ষ আদালতের নির্দেশ না মেনে আদালত অবমাননা করেছে। তাই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার আর্জি জানিয়েছি। সোমবার এই মামলার শুনানি হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার তথা ঘাটালে বিজেপির প্রার্থী ভারতী ঘোষ আগেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় সুরাহা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীকে পশ্চিমবঙ্গেই ঢুকতে দিতে চাইছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাঁকে ‘ঘোষিত অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের অভিযোগ, ভারতী তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করবেন।
আজ সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে ভারতীর বক্তব্য জানতে চেয়েছে। তবে ভারতীর পক্ষে স্বস্তির হল, সুপ্রিম কোর্ট কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ না দেওয়ায় ঘাটালে তাঁর প্রচারে আপাতত বাধা থাকছে না। ১৫ এপ্রিল এই মামলার ফের শুনানি হবে। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আজ অভিযোগ তোলেন, ভারতী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত ‘কল ডিটেল রেকর্ডস’ পেয়ে যাচ্ছেন। মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কাছে ভুয়ো ই-মেল আইডি থেকে চিঠি পাঠিয়ে তিনি শুধু অভিযুক্তদের নয়, তদন্তকারী অফিসারেরও সিডিআর জোগাড় করে ফেলেছেন। ভারতীর আইনজীবী নীরজ কিষাণ কল পাল্টা বলেন, ভারতীর বিরুদ্ধে সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বার ওঁকে অন্য রাজনৈতিক দল ভোটে প্রার্থী করেছে বলেই তাঁকে রাজ্যে ঢুকে বাধা দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সিব্বলের অভিযোগ, উনি অন্য দলে গেছেন নিজেকে বাঁচানোর জন্য। কল বলেন, এখানে আইনি যুক্তির বদলে রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। ভারতীর বক্তব্য জানানোর জন্য ১০ দিন সময় চান কল। ভারতী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ভয় পেয়েছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করেও আটকাতে পারছে না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেও কিছু করতে পারছে না।’’
বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-র তরফেও আজ সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়, যেন তাঁর মামলার দ্রুত শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চে সৌমিত্রর হয়ে পি এস পাটওয়ালিয়া ও কবীরশঙ্কর বসুর আর্জির পরে আদালত আগামী সপ্তাহে শুনানিতে রাজি হয়েছে। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সৌমিত্র হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় বাঁকুড়ায় ঢুকতে পারছেন না। তাঁর আইনজীবীদের যুক্তি, ভোটের প্রচার তাঁর সাংবিধানিক অধিকার। গত জানুয়ারিতে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সৌমিত্রর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy