নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। -ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ভাষণ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে কি না, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। কমিশনের তিন সদস্যের শীর্ষ স্তরের কমিটির অন্যতম অশোক লাভাসা প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতির নির্বাচনী ভাষণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিন সদস্যের কমিটিতে তাঁর মতামত গুরুত্ব না পাওয়ায়, এমনকী, নথিভুক্তও না হওয়ায় ক্ষোভে কমিটির বৈঠক থেকে দূরে সরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার লাভাসা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা অবশ্য বলেছেন, ‘‘কমিশনে এমন মতবিরোধ আগেও হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। সেটাই স্বাভাবিক।’’
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ছাড়া তিন সদস্যের কমিশনে আর যে দু’জন নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন, তাঁদের এক জন লাভাসা, অন্য জন সুশীল চন্দ্র।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে লাভাসা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর চারটি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের একটি নির্বাচনী ভাষণকে কমিশনের ওই কমিটি যে ভাবে ক্লিনচিট দিয়েছে, তাতে তিনি ক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন- ‘যেন মন কি বাত’, মোদীর সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের
আরও পড়ুন- সরে গেল ঢাল, চাপ বাড়ল রাজীবের
লাভাসার অভিযোগ, তাঁর মতামতকে নথিভুক্ত করা হয়নি। আর তা করা হয়নি বলেই কমিশনের বৈঠকগুলিতে তাঁর উপস্থিতি ‘অর্থহীন’ হয়ে পড়েছে বলে লাভাসা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে। লাভাসা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে বলেছেন, ‘‘কমিশনের যাবতীয় সিদ্ধান্তের ঘোষণা ও নথিবদ্ধ করার ব্যাপারে স্বচ্ছতা রক্ষার ক্ষেত্রে আমার কোনও নোটই নথিভুক্ত করা হয়নি। এই সবই আমাকে কমিটির বৈঠকগুলি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করল।’’
! ’ ! ’ ? লাভাসার ঘটনার জেরে মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেরি করেনি কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন ‘‘প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ইস্তফা দিচ্ছেন। সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিভিসি অন্তঃসারশূন্য রিপোর্ট দিচ্ছেন। এ বার নির্বাচন কমিশনেও দেখা দিল মতবিরোধ। তা প্রকাশ্যেও এল। প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বকে অস্বীকার করাটাই মোদী সরকারের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ বাঁচাতে কমিশন কি এ বার লাভাসার ক্ষোভকে নথিভুক্ত করবে?’’
লাভাসার ঘটনার জেরে মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেরি করেনি কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন ‘‘প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ইস্তফা দিচ্ছেন। সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিভিসি অন্তঃসারশূন্য রিপোর্ট দিচ্ছেন। এ বার নির্বাচন কমিশনেও দেখা দিল মতবিরোধ। তা প্রকাশ্যেও এল। প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বকে অস্বীকার করাটাই মোদী সরকারের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ বাঁচাতে কমিশন কি এ বার লাভাসার ক্ষোভকে নথিভুক্ত করবে?’’
Erosion of Institutional Integrity is the hallmark of Modi Govt!
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) May 18, 2019
SC Judges going public,
RBI Guv’s resigning
CBI Director getting removed
CVC giving vacuous reports
Now Dividing Election Commission!
Will EC save the embarrassment by recording Sh Lavasa’s dissent notes? 2/2 pic.twitter.com/gQxtFtCRPe
! ’ ! ’ ?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy