Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Locust

পঙ্গপাল মারতে ১০০০ ‘জলকামান’! যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে আসরে নামছে কেন্দ্র

পতঙ্গবাহিনীর দখলে রয়েছে রাজস্থানের ২০টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, গুজরাতের দু’দটি এবং পঞ্জাবের একটি জেলা।

পঙ্গপালে ছেয়েছে আকাশ। রাজস্থানের জয়পুরে। ছবি: পিটিআই

পঙ্গপালে ছেয়েছে আকাশ। রাজস্থানের জয়পুরে। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ১৮:১৫
Share: Save:

পঙ্গপাল মারতে এ বার জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। তার জন্য ৮৯টি দমকলের ইঞ্জিনের মাধ্যমে স্প্রে-সহ বিপুল পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষিকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে করা হবে। অন্য দিকে পশ্চিম ও মধ্য ভারতের পাঁচ রাজ্যে থাকলেও সংলগ্ন একাধিক রাজ্যে সম্ভাব্য হামলার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম ও মধ্য ভারতের পাঁচ রাজ্য— রাজস্থান, পঞ্জাব, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কোটি কোটি মরুপতঙ্গের ঝাঁক। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই পতঙ্গবাহিনীর দখলে রয়েছে রাজস্থানের ২০টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, গুজরাতের দু’টি এবং পঞ্জাবের একটি জেলা। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বিপুল পরিমাণে কমলালেবুর ক্ষতি হয়েছে বলে সে রাজ্যের কৃষি দফতর জানিয়েছে।

এ বার সেই পঙ্গপালের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে ময়দানে নামছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। বুধবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দমকলের ৮৯টি ইঞ্জিন থেকে কীটনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি একাধিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১২০টি সার্ভে যান মোতায়েন করা হয়েছে। এই গাড়িগুলি পঙ্গপালের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাবে এবং সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবে। তার পর সেই অনুযায়ী সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। দমকলের গাড়ি ছাড়াও সাধারণ ৪৭টি গাড়ি থেকেও কীটনাশক স্প্রে করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রক। এ ছাড়া একই ভাবে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য আরও ৮১০টি ট্রাক্টরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে স্প্রে করা যানের সংখ্যাই প্রায় ১ হাজার। প্রয়োজন অনুযায়ী সেই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আরও পড়ুন: শ্রমিকদের থেকে ট্রেনের ভাড়া নেওয়া যাবে না, পরিযায়ী নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টের

কিন্তু কীটনাশক স্প্রে করার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয়নি মহারাষ্ট্রে। বরং পতঙ্গবিভ্রাট আরও বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যে কীটনাশক স্প্রে করতেই দু’টি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে পঙ্গপাল। একটি দল নাগপুরের পারসিওনির দিকে চলে গিয়েছে। অন্য দলটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভান্ডারা এলাকায়। ফলে তাদের কাবু করা আরও মুশকিল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের কৃষি আধিকারিকরা। রাজ্যের কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে পঙ্গপাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিদর্ভ অঞ্চলের ১১টি জেলায় এবং উত্তর মহারাষ্ট্র অঞ্চলের চারটি জেলায়।

কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের মতে, সাধারণত দিনের বেলা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় পঙ্গপালরা। যাত্রাপথে উজাড় করে মাঠের ফসল। কিন্তু রাতে বিশ্রাম নেয় এই পতঙ্গের দল। তাই রাতে বিশ্রামের সময় স্প্রে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: দৈনিক নিজের ওজনের সমান খাবার খাওয়া পঙ্গপাল আতঙ্ক ছড়িয়েছিল প্রাচীন মিশরেও!

এর বাইরেও ছত্তীসগড়, উত্তরপ্রদেশেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ওড়িশায় বুধবারই একটি নির্দেশিকা জারি করে কৃষকদের কী করণীয়, তা জানিয়েছে নবীন পট্টনায়ক প্রশাসন।

অন্য বিষয়গুলি:

Locust Locust Attack in India Locust Attack Rajasthan Maharashtra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy