Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India

অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সফরে কী করবেন, কী করবেন না, ফের গাইডলাইন দিল কেন্দ্র

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া ওই গাইডলাইন টুইট করেন হরদীপ সিংহ পুরি।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ১৯:০৫
Share: Save:

প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর, আগামিকাল, সোমবার থেকে চালু হতে চলেছে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে বিশেষ ট্রেনও চলছে। শুরু হয়েছে আন্তঃরাজ্য বাস চলাচলও। সে দিকে তাকিয়েই রবিবার সব ধরনের যাত্রীদের জন্য নতুন করে গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া গাইডলাইনে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের জন্য বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে যাত্রীদের মোবাইলে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেও নয়া গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে জুনের মাঝামাঝি অথবা জুলাইয়ের শেষে আন্তর্জাতিক বিমানও চালু হতে পারে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি।

এ দিন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া ওই গাইডলাইন টুইট করেন হরদীপ সিংহ পুরি। তিনি বলেন, ‘‘কোনও অন্তর্দেশীয় বা আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীর করোনা উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে। রাজ্যগুলিও নিজেদের মতো মূল্যায়ন করে কোয়রান্টিন ও আইসোলেশনের ক্ষেত্রে নতুন বিধি তৈরি করতে পারে।’’ যাত্রীদেরও কড়া ভাবে নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: দেশীয় উড়ান চালু করাটা ‘অতি কুপরামর্শ’, মত মহারাষ্ট্র সরকারের​

বিমান, রেল ও বাস যাত্রীদের জন্য গাইডলাইন

• প্রত্যেক যাত্রীকে নিজেদের মোবাইলে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে

• বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং বিমানে করোনা ও তার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে প্রচার চালাতে হবে।

• রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। উপসর্গ না থাকলে তবেই যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে।

• যানবাহনে ওঠার সময় ও যাত্রার আগে যাত্রীদের মাস্ক পরতে হবে। মানতে হবে হাত ধোয়ার বিধিও

• বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনালে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে হবে।

• বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনালে নিয়মিত জীবাণুনাশক ছড়াতে হবে।

• প্রস্থানের পথে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

• উপসর্গহীন যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য নিজেকে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরা যেন প্রশাসনের সাহায্য নেন।

• যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের আলাদা করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

• যাঁদের মাঝারি বা তীব্র উপসর্গ ধরা পড়বে তাঁদের কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।

• যাঁদের কম উপসর্গ রয়েছে তাঁরা হোম আইসোলেশন বা কোভিড কেয়ার সেন্টার, যে কোনও জায়গায় থাকতে পারেন।

আরও পড়ুন: লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের আটকে রেখেছিল চিন? দাবি খারিজ সেনার​

আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য গাইডলাইন

• যাত্রার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তাঁরা ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকবেন। এর মধ্যে ৭ দিন অর্থের বিনিময়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে থাকতে হবে, যে ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদেরই অর্থ খরচ করতে হবে। বাকি ৭ দিন স্বগৃহে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

• তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেমন কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলে, পরিবারে কারও মৃত্যু হলে, কেউ খুব অসুস্থ হলে অথবা কোনও বাবা-মায়ের সন্তানের বয়স ১০ বছরের কম হলে তাঁরা ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকতে পারবেন।

• সংশ্লিষ্ট এজেন্সির দেওয়া টিকিটেই কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তার উল্লেখ থাকবে।

• প্রত্যেক যাত্রীকে মোবাইলে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

• বিমান বা জাহাজে শুধু মাত্র উপসর্গহীন যাত্রীকেই চড়তে দেওয়া হবে।

• থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পরই বিমান বা জাহাজে চড়তে দেওয়া হবে।

• সীমান্ত পেরিয়ে যাঁরা আসবেন তাঁদের ক্ষেত্রেও একই বিধি কার্যকর হবে।

• বিমানবন্দর ও বিমানে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

• সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

• যাত্রীদের মাস্ক পরতে হবে। মানতে হবে হাত ধোয়ার বিধিও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE